CART-T Cell Therapy

ক্যানসার নিরাময়ে নয়া অস্ত্রোপচার দেশে, মুম্বইয়ে প্রথম হল কার টি-সেল থেরাপি

দেশে প্রথম বার রক্তের ক্যানসারের চিকিৎসায় ‘কার টি সেল থেরাপি’-র এক বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োগ করলেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement
, আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ২০:১১
India’s first Allogenic CAR-T Cell Therapy perform in Mumbai

ক্যানসার চিকিৎসায় সর্বাধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ দেশে। প্রতীকী ছবি।

ক্যানসার চিকিৎসায় আধুনিকতম অস্ত্রোপচারের মধ্যে পড়ে ‘কার টি সেল থেরাপি’। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্যানসার সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করা যাচ্ছে বলেই দাবি চিকিৎসকদের। দেশে প্রথম বার মুম্বইতে রক্তের ক্যানসারের চিকিৎসায় ‘কার টি সেল থেরাপি’-র এক বিশেষ পদ্ধতির প্রয়োগ করলেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

মুম্বইয়ের পিডি হিন্দুজা হাসপাতালের চিকিৎসক বিজয় পাতিল ‘কার টি সেল থেরাপি’-র পদ্ধতিতে এক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করেন। এই পদ্ধতি ক্যানসার মুক্তির নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেই বিশ্বাস চিকিৎসা মহলের। রক্তের ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে, শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধক কোষগুলি নষ্ট হতে থাকে। এই বিশেষ পদ্ধতিতে দাতার শরীর থেকে রোগ প্রতিরোধক ‘টি কোষ’ নিয়ে গ্রহীতার শরীরের প্রতিস্থাপন করেছেন চিকিৎসকেরা। দেখা গিয়েছে, ক্যানসারের রোগীর শরীরেও নতুন করে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়েছে, যা ভিতর থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে পারে।

চিকিৎসক বিজয় পাতিল বলেছেন, এই বিশেষ পদ্ধতির নাম ‘অ্যালোজেনিক কার টি সেল থেরাপি’, যার প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হল ভারতে। ক্যানসারের রোগীর উপর এই পদ্ধতির প্রয়োগ করে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যদি দেখা যায় ওই রোগীর শরীর থেকে ক্যানসার সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল হয়েছে, তা হলে শত শত ক্যানসার রোগীর উপরে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা হবে।

কার টি সেল থেরাপি কী?

সম্পূর্ণ নাম ‘চিমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর টি সেল থেরাপি’। এ হল এক ধরনের ইমিউনোথেরাপি, যা রক্তের ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়।

ক্যানসার নিরাময়ে অস্ত্রোপচার, রেডিয়োথেরাপি, কেমোথেরাপির উপর বেশি ভরসা রাখা হত এতদিন। তবে ইদানীং উন্নত পদ্ধতিতে ইমিউনোথেরাপিতেও মারণরোগের মোকাবিলা করা হচ্ছে। সহজ করে বললেন, এই পদ্ধতিতে শরীরে ঘাতক টি-কোষগুলিকে (প্রতিরক্ষা কোষ) সক্রিয় করে তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে দাতার শরীর থেকে টি-কোষ নিয়ে তাকে গবেষণাগারে বিশেষ পদ্ধতিতে বদলে শক্তিশালী করে তোলা হয়। তার পর পরিবর্তিত ও শক্তিশালী কোষগুলিকে গ্রহীতা বা ক্যানসার রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, নতুন করে প্রতিস্থাপিত কোষগুলি গ্রহীতার শরীরে ঢুকে তার রোগ প্রতিরোধ শক্তি কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলবে। ফলে ক্যানসার কোষগুলির বিভাজন ও বৃদ্ধি দুই-ই বন্ধ হবে। রোগীও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করবে।

শুধু তা-ই নয়। এই টি-কোষগুলি শরীরে ঢুকে অ্যান্টিবডির মতোও কাজ করবে। ফলে ক্যানসার এক বার সেরে যাওয়ার পরে আর দ্বিতীয় বার ফিরে আসার আশঙ্কা অনেক কমে যাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement