ওমিক্রনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক এই নতুন কোভিডের এই নয়া রূপ। ছবি: সংগৃহীত
উদ্বেগ জাগিয়ে ক্রমশ আমেরিকায় কোভিড সংক্রমণের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে ওমিক্রনের স্টেলথ বা বিএ.২ ভেরিয়্যান্টটি। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে পশ্চিম ইউরোপের ক্ষেত্রেও, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এমনটাই দাবি। সান দিয়েগোর একটি জেনোমিক্স সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকায় বর্তমানে যত সংখ্যক কোভিডে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন বিএ.২ ভেরিয়্যান্টে।
ওমিক্রনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক এই নতুন ভেরিয়্যান্ট। আমেরিকার কয়েকজন অতিমারি বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, যে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে যেমন শ্বাসযন্ত্র ও ফুসফুসজনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়, ওমিক্রনের এই নয়া রূপটির ক্ষেত্রে কিন্তু মূলত পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে ‘স্টেলথ ওমিক্রন’-এ আক্রান্ত হলেও অনেকেই তা বুঝতে পারছেন না।
কোভিড বা ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ভাইরাস সরাসরি শ্বাসযন্ত্র দিয়ে প্রবেশ করে সেখানেই সবার আগে আঘাত করে। কিন্তু স্টেলথ ওমিক্রনের ক্ষেত্রে নাক, মুখ বা ফুসফুস দিয়ে প্রবেশ করলেও তা সরাসরি অন্ত্রে প্রভাব ফেলে। ফলে আরটিপিসিআর বা অ্যান্টিজেন পরীক্ষাতেও সময়ে তা তা অনেক সময় না-ও ধরা পড়তে পারে। পেটের সমস্যা ছাড়াও ওমিক্রনের এই নতুন রূপটির প্রাথমিক লক্ষণ হল মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং ক্লান্তি।
এক বার ওমিক্রন থেকে সেরে উঠলে হলে কি নতুন বিএ.২ ভেরিয়্যান্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
ডেনমার্কের স্ট্যাটেন্স সেরাম ইনস্টিটিউট -এর সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, অতীতে আপনার যদি ওমিক্রন সংক্রমণ হয়ে থাকে, তা হলে আপনার বিএ.২ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তবে গবেষকরা আরও বলেন যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ২১ নভেম্বর থেকে ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে ১৮ লক্ষেরও বেশি রোগী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১,৭৩৯ জন পুনরায় বিএ.২ ভেরিয়্যান্টে সংক্রমিত হয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, একা বার আক্রান্ত হওয়ার ২০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই এই রোগীরা পুনরায় সংক্রমিত হয়েছেন।
হার্টফোর্ড হেলথকেয়ারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পুনঃসংক্রমণগুলি বেশির ভাগই অল্পবয়সি এবং সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়নি এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে খুব হালকা উপসর্গই দেখা দিচ্ছে রোগীর শরীরে।