Women Health Tips

ত্রিশ পেরিয়ে গেলে কী কী শারীরিক বদল আসে মেয়েদের? লক্ষণ দেখে সতর্ক থাকুন

ত্রিশের পর থেকে শরীরে ও মনে কী কী বদল আসতে থাকে? অনেকে লক্ষণ দেখেও এড়িয়ে যান। সময়মতো চিকিৎসকের কাছে গেলে অনেক জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৩৩
How women’s bodies changes after 30 and beyond

মেয়েরা কী কী খেয়াল করে সতর্ক থাকবেন। ছবি: ফ্রিপিক।

বয়স ত্রিশের কোঠা পেরোলেই শরীরে ও মনে নানা বদল আসে মেয়েদের। এই সময়ে থেকেই হরমোনের ওঠাপড়া শুরু হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমতে থাকে। যে মহিলারা সুষম আহারে অভ্যস্ত নন, তাঁদের সমস্যা আরও বাড়ে। শারীরিক অনেক বিষয়েই বদল আসতে শুরু করে। শরীরে পুষ্টি ও শক্তির জোগান দেয় এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদানেরও ঘাটতি হতে থাকে। তার লক্ষণও দেখা দেয়। সেগুলি বুঝে সময় থাকতেই চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়া জরুরি।

Advertisement

ওজন বেড়েই চলেছে? চেষ্টা করেও কমছে না? ত্রিশের পর থেকে মেয়েদের ওজন বাড়তে শুরু করে। তাই এই সময়ে ডায়েট ও শরীরচর্চায় মন দিতে হবে।

হরমোনের ওঠানামা লেগেই থাকবে। ঋতুস্রাবজনিত কিছু সমস্যাও হতে পারে। ঋতুস্রাব অনিয়মিতও হয়ে যায় অনেকের।

জরায়ুতে সিস্ট হচ্ছে না তো? পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যা অনেক মেয়েরই হতে পারে। পাশাপাশি ৩০ বছরের পর এইচপিভি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াও জরুরি। তাতে ধরা পড়ে জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কি না।

নিয়মিত চুল পড়ছে কি? তা হলে সাবধানে থাকতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে এমন হতে পারে।

স্তনের আকার বদলাচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন। ৩০ বছরের পর থেকেই প্রত্যেক বছর একবার করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা এবং স্তনের এমআরআই স্ক্যান করিয়ে নেওয়া উচিত। তাতে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা আছে কি না ধরা পড়বে সহজেই।

ঘন ঘন মেজাজ বদলে যেতে পারে। প্রধান দুই স্ত্রী হরমোন ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের তারতম্য হলে এমন হতে পারে।

শ্বাসের সমস্যা, বুক ধড়ফড় করলে সাবধান হতে হবে। পেশাগত জীবনে কাজের চাপ, মানসিক চাপ, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং জীবনযাপন পদ্ধতি হার্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই লিপিড প্রোফাইল টেস্ট, সুগার টেস্ট, এইচএস-সিআরপি টেস্ট, কোলেস্টেরল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গেই থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট করাতে হবে।

ত্রিশের পর মা হতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এগোনোই ভাল। কারণ ৩০ পেরিয়ে গেলেই জরায়ুর ধারণক্ষমতা ও উর্বরতা দুই-ই কমতে থাকে। ঋতুস্রাব হচ্ছে মানেই ডিম্বাণুর গুণগত মান ঠিক আছে তা একেবারেই নয়। তাই সে ক্ষেত্রে আলট্রাসাউন্ড ও এএমএইচ টেস্ট করিয়ে দেখে নিতে হবে জরায়ুর অবস্থা ও ডিম্বাণুর গুণগত মান কেমন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement