নববর্ষ হোক কিংবা বড়দিন, বিরিয়ানি খেয়েই উদ্যাপন করেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত।
সামনেই পয়লা বৈশাখ। বাঙালির উৎসব মানেই ভূরিভোজ। সকলে মিলে একসঙ্গে জমিয়ে পাত পেড়ে না খেলে উৎসব বলে ঠিক মনেই হয় না। নববর্ষে নানা রকম বাঙালি খানায় পাত ভরে থাকলেও, বিরিয়ানির কদর কিন্তু কমে না। নববর্ষ হোক কিংবা বড়দিন, বিরিয়ানি খেয়েই উদ্যাপন করেন অনেকে। কিন্তু বিরিয়ানি খাওয়ার আগে মাথায় একটা চিন্তা ঘোরাফেরা করেই— ওজন বেড়ে যাবে না তো? ধোঁয়া ওঠা গরম বিরিয়ানির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে এই সব চিন্তা মাথা থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলা জরুরি। রোজ বিরিয়ানি খেয়েও ওজন থাকবে হাতের মুঠোয়। শুধু বিরিয়ানি খাওয়ার পর তিনটি কাজ করতে হবে নিয়ম মেনে।
১) এক প্লেট বিরিয়ানিতে ক্যালোরির পরিমাণ গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০। এই ক্যালোরি আসলে ওজন বাড়ানোর নেপথ্যে থাকে। ভরপেট বিরিয়ানি খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়ার পর হাঁটুন। বিরিয়ানি খাওয়ার পর কখনও এক জায়গায় বসে থাকবেন না। তা হলে মেদ জমবে দ্রুত। মোটা হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিন।
২) আগের রাতে জমিয়ে এক প্লেট বিরিয়ানি খেয়েছেন। পরের দিন সকালে উঠেই খালি পেটে হালকা গরমে জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। একই সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
৩) শুধু লেবু জল খেলেই হবে না। বিরিয়ানি খেলে পরের এক-দু’দিন শরীরচর্চার সময়টাও বাড়াতে হবে। হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে খুব ভাল হয় যদি কিছু ভারী ব্যায়ামও করা যায়। তা হলে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়।