শসা ভেজানো জল খেলে কী কী উপকার হয়? ছবি: সংগৃহীত।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেয়েও যেন পিপাসা মিটছে না! তার উপর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে নানা রকম খনিজ বেরিয়ে যাচ্ছে বলে সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই সময়ে পুষ্টিবিদেরা তাই জলের সঙ্গে এমন ফল খেতে বলছেন, যেগুলির মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি। শসা তার মধ্যে অন্যতম। তবে, শসা শুধু জলের ঘাটতি পূরণ করে না। বাড়তি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। কিন্তু শসা খাওয়ার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করতে ডিটক্স পানীয় খাওয়ার এখন খুব চল হয়েছে। বদলে শসা ভেজানো জল খান।
শসা ভেজানো জল খেলে কী উপকার হয়?
এই পানীয়ের ক্যালোরি অত্যন্ত কম। তাই বাজারজাত অন্যান্য কৃত্রিম পানীয় কিংবা ফলের রসের চেয়ে এটি ভাল। শসা ভেজানো জলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এবং সি, যা সামগ্রিক ভাবে শরীর ভাল রাখে। হজমশক্তি উন্নত করে। এ ছাড়া রয়েছে পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বিটা-ক্যারোটিন। শসার মধ্যে ‘কিউকারবিটাসিন’ নামক বিশেষ একটি প্রদাহনাশক রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান শরীরের জন্য ভাল। শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও, এই পানীয় খুব উপকারী। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে শাসা ভেজানো জল খেলে ঘন ঘন খিদের প্রবণতা কমে। শসাতে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি। এই দু’টি উপাদান অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
কী ভাবে তৈরি করবেন শসা ভেজানো জল?
উপকরণ:
১টি শসা কুচি করে কাটা
অর্ধেক পাতিলেবু
৭-৮টি পুদিনা পাতা
১ লিটার জল
পদ্ধতি:
কাচের বোতলে শসা কুচি, লেবুর টুকরো এবং পুদিনা পাতা দিয়ে জল ভরে নিন। খাওয়ার আগে অন্তত ১-২ ঘণ্টা বোতলটি ফ্রিজে রেখে দিন। সারা দিন ধরে এই পানীয় অল্প অল্প করে খেতে থাকুন।
এই পানীয়ের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইলে দারচিনি, আদা কিংবা কয়েকটি বেসিলও দিতে পারেন। এই পানীয়ের গুণ বাড়বে যদি ফিল্টার কিংবা ডিসটিল্ড ওয়াটার ব্যবহার করা যায়।
কাদের জন্য এই পানীয় নিরাপদ নয়?
শসা ভেজানো বা ‘ইনফিউস্ড’ জল পানে সাধারণত মারাত্মক কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে, যাঁদের ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) রয়েছে, ঘন ঘন অম্বল হয় কিংবা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই পানীয় খাওয়া উচিত।