গরমে এমন ভিড় ঠেলেই মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ছবি: সংগৃহীত
পেশায় স্কুলশিক্ষিকা নীলিমা প্রায় প্রতি দিনই মেট্রোতে যাতায়াত করেন। দমদম থেকে টালিগঞ্জ। আবার ফিরতি পথে টালিগঞ্জ থেকে দমদম। এই গরমে মানুষের যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তখন এই সময়েও মুখে মাস্ক পরেই যাতায়াত করেন তিনি। চোখ, মুখ, মাথা, ঘাড়, এমনকি সারা শরীর দিয়ে প্রায় কলের সরু ধারার মতো জল পড়েই চলেছে অনবরত। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই মুখ থেকে মাক্স তিনি খুলবেন না। কোনও ভাইরাসের ভয়ে নয়। তাঁর সমস্যা হল ঘামের দুর্গন্ধের। নীলিমার মতো এমন বহু যাত্রী এই একই সমস্যার সম্মুখীন হন। বাস, ট্রাম, ট্রেন, মেট্রো— যে বাহনেই যান না কেন, ভিড়ের চাপে দম বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড় হয় নিত্যযাত্রীদের।
চিকিৎসকেরা বলছেন, বাহুমূলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘হাইপারহাইড্রসিস’ নামে পরিচিত। সকালে স্নান করে সুগন্ধি মেখে বেরোলেও রাস্তাঘাটে ঘামের দুর্গন্ধের জন্য সমস্যায় পড়েন অনেকেই। জনসমক্ষে হাত তুলে দাঁড়াতে গেলে লজ্জায় পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) হালকা পোশাক
দিন হোক বা রাত, এই গরমে কোনও ভাবেই কষ্টদায়ক ফ্যাব্রিক পরতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। তার বদলে সুতির বা লিনেনের হালকা, আরামদায়ক পোশাক বেছে নেওয়া যেতে পারে। ফলে ঘাম হলেও খুব একটা কষ্ট হয় না।
২) অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট
স্নান করার পর, রাতে শোয়ার সময় বাহুমূলে অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ঘামের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে পারে।
৩) বাহুমূল পরিষ্কার রাখুন
স্নানের সময়ে বাহুমূল পরিষ্কার করা আবশ্যিক। পারলে বাহুমূলের রোমও পরিষ্কার করে রাখতে পারেন। ঘাম জমেও এই গরমে ত্বকে নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে। রোম পরিষ্কার রাখলে এমন সমস্যা আর হবে না।
৪) ক্যাফিনজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে বিভিন্ন রকম পানীয় খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। সঙ্গে ক্যাফিনজাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে বলেন। কারণ, অতিরিক্ত কফি বা চা খেলে ঘামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে জল। পাশাপাশি, ঘামে দুর্গন্ধের পরিমাণও কমিয়ে ফেলতে পারে। তাই সারা দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।