ডায়েট করলে জানতে হবে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
মাসখানেক হল ডায়েট শুরু করেছেন, তবু মেদ কিছুতেই জব্দ হচ্ছে না? সঠিক নিয়ম মেনে ডায়েট করছেন কি? না কি ডায়েটের মাঝেই খিদে পেলে মুখে পুরছেন রকমারি স্ন্যাকস? অনেকেই ভাবেন পরিমাণে কম খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়। এমনটা কিন্তু নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। খিদে পেলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকাই।
ডায়েটের সময়ে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী ভাবে?
১) ডায়েট করলে কিন্তু বেশি করে জল খেতেই হবে। এতে যেমন শরীর চাঙ্গা হয়, তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। ডায়েটের মাঝে খিদে পেলেও বেশি করে জল খেয়ে নিন। এই টোটকায় খিদে অনেকটাই কমে। জল খেলে পেট ভরে যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। চাইলে বারে বারে ডিটক্স ওয়াটারও চুমুক দিতে পারেন। খাবার শুরুতেও এক গ্লাস জল খেয়ে নিলে কিন্তু পেট ভরে যায়, খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করে না। এর ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) ডায়েটে বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদে কম পায়। ওট্স, বার্লি, ফল ও শাকসব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। খেতে পারেন মটর, শিম ও বিভিন্ন প্রকার ডালও।
৩) প্রোটিনও খিদে কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করার সময় চার ঘণ্টা অন্তর প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার রাখলে তা খিদে পাওয়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
৪) মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ রকম হলে কিন্তু আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। নইলে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না।
৫) খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়।