—ফাইল চিত্র।
ভোরবেলায় কষ্ট করে উঠে রোজ উর্ধ্বশ্বাসে হাঁটাহাঁটি চলছে। অথচ দেখা যাচ্ছে যতটা ফলের আশা ছিল, তা মিলছে না। শীতের সকালে বিছানার আরাম থেকে নিজেকে টেনে বার করে শরীরচর্চার জন্য প্রস্তুত করতেই যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করতে হয়। তার উপর যদি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পেটের চর্বির কয়েক ইঞ্চি ফারাকও চোখে না পড়ে, তবে পরের দিনের জন্য নিজেকে তৈরি করেন কী করে! চিকিৎসকেরা বলছেন, হাঁটার মতো ভাল শরীরচর্চা দু’টি নেই। চাইলে শুধু হেঁটেই শরীর ঝরঝরে রাখতে পারেন। ঝরাতে পারেন বেশি ক্যালোরিও।
দিল্লির সি কে বিড়লা হাসপাতালের ফিজ়িয়োথেরাপির বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক সুরেন্দ্র পাল সিংহ বলছেন, হেঁটে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ঝ়়রাতে চাইলে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে হবে। সেই কৌশল ঠিকঠাক প্রয়োগ করলেই হাঁটার সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া যাবে।
১। পথের দৈর্ঘ্য নয়, হাঁটার গতি বৃদ্ধি করতে হবে। বেশি ক্যালোরি ঝরাতে হলে জোরে হাঁটুন। এতে হৃদস্পন্দনের মাত্রা বাড়বে। ক্যালোরি ঝরবে বেশি।
২। সঙ্গী বা বন্ধুর সঙ্গে হাঁটুন। এক জন সঙ্গী থাকলে শরীরচর্চা করার বাড়তি প্রেরণা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাও হতে পারে। যা শরীরের জন্য আখেরে ভাল।
৩। হাঁটার পাশাপাশি স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করুন। শরীরে পেশি তৈরি হলে মেটাবলিরক রেট বৃদ্ধি পায়। তাতে ক্যালোরি খরচ হয় আরও বেশি।
৪। হাঁটার ভঙ্গি ঠিক করুন। হাঁটার সময় পিঠ থাকবে ঋজু। তলপেট এবং কোমরের নীচের দিকের পেশির কাজ হবে বেশি। হাঁটার সময় হাত দুলবে। এতে হাঁটতে গিয়ে চোট লাগার ঝুঁকি কমবে। হাঁটার সুফলও মিলবে বেশি।
৫। হাঁটার আগে, পরে এবং হাঁটার সময় প্রয়োজন মতো জল খান। হাঁটার জন্য সব সময় ভাল এবং আরামদায়ক জুতো পরুন। যাতে পায়ের পাতা এবং অস্থিসন্ধিতে অযথা চাপ না প়ড়ে।
৬। ফিটনেস ট্র্যাকার অথবা কোনও অ্যাপ মনিটরে নজর রাখুন কতটা হাঁটলেন, কত ক্ষণ হাঁটলেন বা কতটা ক্যালোরি ঝরল। তাতে যেমন উদ্বুদ্ধ হবেন, তেমনই প্রয়োজন অনুযায়ী হাঁটার সময় নিয়ন্ত্রণও করতে পারবেন।
৭। চড়াই রাস্তায় হাঁটার অভ্যাস করুন। যদি চড়াইয়ে হাঁটার সুযোগ না থাকে তবে ট্রেডমিলের সেটিংয়ে চড়াই রাস্তার বিকল্প বেছে নিতে পারেন।
৮। এক পথে রোজ না হেঁটে একঘেয়েমি কাটাতে নতুন নতুন পথে হাঁটুন। নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলুন নিজেকে। তাতেও হাঁটায় নতুন উদ্যম পাবেন।