সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল খাবার পর দুপুরের ঝিমুনি। প্রতীকী ছবি।
নববর্ষের দিন। তবু অফিসে ছুটি নেই। তাই বলে উদ্যাপনে খামতি থাকবে, তা কী করে হয়? সকাল থেকে মাঞ্জা মেরে নতুন শাড়ি-পাঞ্জাবি, সাজগোজ সবই হয়েছে। এ বার তো পেটপুজোর কথা ভাবতেই হয়। কিন্তু নববর্ষে দুপুরবেলা সহকর্মীরা সকলে মিলে তো ডায়েট মেনে খাবার খাবেন না। বাঙালি খাবার হলেও একটু গুরুপাক তো হবেই। সঙ্গে হজমের সমস্যাও হবে। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল খাবার পর দুপুরের ঝিমুনি। এমনিতেই উৎসবের আবহ, তার উপর এমন চর্বচোষ্য খাবার, তার পর তো আর কাজে মন বসার কথা নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ভারী খাওয়ার পর ঘুম পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে কিছু জিনিস জানা থাকলে তা-ও ঠেকিয়ে রাখা যায়।
খাওয়াদাওয়ার পর ঘুম ঘুম ভাব এড়াতে কী কী করবেন?
১) হাঁটাহাঁটি করুন
খাওয়ার পর বসে না থেকে একটু-আধটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। মিটিংয়ে যোগ দিতে হলেও বসে থাকবেন না। দাঁড়িয়ে বা ঘুরে ঘুরে মিটিং করুন।
২) পর্যাপ্ত জল খান
শরীরে জলের ঘাটতি থাকলে ক্লান্ত লাগতে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল খেতেই হবে। ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে অতিরিক্ত ক্যাফিনজাতীয় পানীয় খাওয়া কিন্তু মোটেই কাজের কথা নয়।
৩) পেট ভর্তি করে না খাওয়া
খাবারে কার্বের বদলে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রাখতে পারলে ঘুমের ভাব এড়িয়ে চলা যায়। তবে খাবার পরিমাণের উপরেও লাগাম টানতে হবে। পেট বেশি ভর্তি হয়ে গেলে ঘুম পাওয়া স্বাভাবিক।
৪) হজমে জোর দেওয়া
সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, খাবার হজম করতেও প্রচুর পরিমাণ শক্তিক্ষয় হয়। খাবার খাওয়ার পর পেটে রক্ত সঞ্চালনও বেড়ে যায়। তাই ঘুম পেতে, ক্লান্ত লাগতেই পারে।
৫) ঘুমে যেন ঘাটতি না থাকে
আগের রাতে যদি ঘুম কম হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পরের দিন এমনিতেই ক্লান্ত লাগে। তার উপর যদি এমন খাওয়াদাওয়া হয়, তা হলে তো কথাই নেই।