Health Benefits of Ghee

ঘি খেয়েও ওজন বাড়বে না, সারা দিনে ঠিক কতটুকু খাওয়া স্বাস্থ্যকর? পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ

এখনকার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন যদিও ঘি, মাখনকে ব্রাত্যের তালিকায় রেখেছেন। তবে পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন, সারা দিনে যদি পরিমিত ঘি খাওয়া যায়, তা হলে তা শরীরে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জোগান দিতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৯
How much Ghee should you consume daily

নিশ্চিন্তে খান ঘি, শুনে নিন পুষ্টিবিদের পরামর্শ। ছবি: ফ্রিপিক।

গরম ভাতে এক চামচ ঘিয়ের স্বাদই আলাদা। তবে ঘি যে শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয়, তা নয়। ঘিয়ের স্বাস্থ্যগুণও বিপুল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ ঘি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এখনকার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন যদিও ঘি, মাখনকে ব্রাত্যের তালিকায় রেখেছেন। তবে পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন, সারা দিনে যদি পরিমিত ঘি খাওয়া যায়, তা হলে তা শরীরে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জোগান দিতে পারে। হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। এখন জেনে নেওয়া যাক, দিনে কতটুকু ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।

Advertisement

এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মত, সারা দিনে যত ক্যালোরি খাওয়ার কথা, তার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসা উচিত ফ্যাট থেকে। তার মধ্যে ১০ শতাংশের কম যদি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে আসে, তা হলে ক্ষতি নেই। বরং তা উপকারই করবে। এখন যে হেতু এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে থাকা ১৫ গ্রাম ফ্যাটের মধ্যে ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, তাই দিনে দু’চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে।

ওজন বশে রাখতে পছন্দের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। তাই বলে ফ্যাট খাওয়া একেবারে ছেড়ে দেওয়ারও দরকার নেই। শম্পা বলছেন, মাখন না খেলেও ঘি কিন্তু খেতে পারেন। ঘিয়ের মধ্যে যে ধরনের ফ্যাট রয়েছে, তা হার্টের জন্য ভাল। সুষম খাবারের পাশাপাশি, দিনে দু’চামচের কম দেশি ঘি খেলে ওজন কমে। কারণ এতে আছে ‘কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড’। ডায়াবিটিস ঠেকানোর পাশাপাশি ওজন কম রাখতেও সাহায্য করে এই অ্যাসিড। ক্যানসার ও ইস্কিমিক হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধেও ঘি সাহায্য করে।

হার্টের রোগ, কোলেস্টেরল না থাকলে, দিনে দু’চামচ ঘি খেলে কোনও সমস্যা নেই। অনেক সময় বনস্পতির সঙ্গে কৃত্রিম স্বাদগন্ধ মিশিয়ে দেশি ঘি বলে চালানো হয়। মানুষ ভুলে বুঝে তা খান। আর তাতেই ক্ষতি হয় শরীরের। ঘি খেতে ইচ্ছে হলে ঘরে বানিয়ে নিন। সেই উপায় না থাকলে বিশ্বস্ত জায়গা থেকে কিনুন। সেই ঘি খেলে উপকার পাওয়া যাবে। রান্নায় পরিমিত ঘি দিলে ঘিয়ের ভিটামিন, খনিজ উপাদানগুলি সব্জিতে মিশে যায়। তখন ভিটামিনের গুণে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে খাবার। রান্না করার সময় ঘিয়ের রাসায়নিক গঠন চট করে ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয় না। তাই সে দিক থেকেও ঘি উপকারী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement