মরচে পড়া সম্পর্কের হাল ফেরাতে ভরসা রাখুন যোগাসনে। ছবি: শাটারস্টক।
সম্পর্ক গড়ে উঠতে সময় লাগে না। কিন্তু সেই সম্পর্কের যত্ন নিতে সকলে পারেন না। দু’জন মানুষের মন এক বিন্দুতে মিললে তখন সম্পর্কের শুরু হয়। সম্পর্ক যখন অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন অনেক সময়ই তা একঘেয়ে হয়ে ওঠে। উল্টো দিকের মানুষটি যদি হাতের তালুর মতো চেনা হয়ে যায়, তখনই বাড়তে থাকে দূরত্ব। একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন। ঘরে-বাইরে নানা ধরনের কাজ। পরিবারের অন্য সকলের দায়দায়িত্ব সামলে নিজেদের জন্য সময় বার করা কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সম্পর্কের প্রভাব পড়ে কাজ, ব্যক্তিগত জীবনে। মনমেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন যোগাসনে। শরীরের সঙ্গে মনকে শান্ত করতেও যোগচর্চা দারুণ উপকারী।
সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে যোগাসন কী ভাবে সাহায্য করে?
শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে যোগাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত যোগচর্চা করলে মানসিক চাপ, উদ্বেগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সম্পর্কে ভালবাসার জোয়ার আনতে শারীরিক সক্ষমতার পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তারও প্রয়োজন রয়েছে।
১) মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে নিয়মিত যোগচর্চা করা যেতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে মিলে যোগাসন করলে মনকে শান্ত থাকার পাশাপাশি, একে অপরের সঙ্গে খানিক ক্ষণ একান্তে সময় কাটানোর সুযোগও তৈরি হয়। ব্যস্ত জীবনে নিজেদের জন্য আলাদা করে সময় বার করার সুযোগ পান না অনেকে, যোগাসনের মাধ্যমে সেই সুযোগ তৈরি হতে পারে।
২) সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখতে হলে একে অপরের উপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। একে অপরের সঙ্গে যৌথ ভাবে যোগাসন একে অপরের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়ে, বিশ্বাসও বাড়ে। এই সব ছোট ছোট বিষয়গুলি মাথায় রেখে চললে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণও সহজ হয়।
৩) যুগলে শরীরচর্চা করলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীর এবং মনে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াও ভাল হয়। শরীরে ‘হ্যাপি’ হরমোনের মাত্রাও বেড়ে যায়।
৪) যৌথ ভাবে যোগাসন করলে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে। এ ছাড়া নিয়মিত যোগাসন করলে যৌনজীবনও সুখের হয়। যে সব দম্পতি দাম্পত্য জীবনে যৌনসুখ উপভোগ করতে পারছেন না, তারা নিয়মিত একসঙ্গে যোগাসন করে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন।