শরীরে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়লে জীবনধারায় কিছু বদল আনতেই হবে। ছবি-প্রতীকী
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। রক্তবাহগুলিকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। তাই রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শরীরে কোলেস্টেরলের চোখরাঙানি বাড়লে জীবনধারায় কিছু বদল আনতেই হবে। রাশ টানতে হবে খাওয়াদাওয়াতেও। ডায়েটে কিছু বদল আনলেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বাঙালির খাদ্যতালিকায় কখনই ফলের আধিক্য থাকে না। অথচ পুষ্টিবিদদের মতে, রোজের ডায়েটে ফল রাখতে পারলেই হাজারটা রোগের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। কোলেস্টেরলকে বাগে আনতেও ফলের গুরুত্ব অনেক। জেনে নিন রোজের খাদ্যতালিকায় কোন ফল রাখলে জব্দ হবে কোলেস্টেরল!
লেবু
ভিটামিন সি-যুক্ত লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
আঙুর
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার-সমৃদ্ধ আঙুর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রেখে হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়।
কিউয়ি
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ভাল কোলেস্টেরলেও থাকে। কিউয়ি এই ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
পেঁপে
এই ফলে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পেঁপে খেলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আপেল
কোলেস্টেরল বা হৃদ্যন্ত্রের কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকরা সব সময়েই আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আপেল হৃদ্যন্ত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।