দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার মন্ত্র লুকিয়ে দৈনন্দিন জীবনে। ছবি:ফ্রিপিক।
হার্টের সমস্যাই হোক বা কোমর-পিঠে ব্যথা, বয়সকালের রোগ এখন কম বয়সের সঙ্গী। কাজের চাপ, সেই সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের ঝক্কি সামলাতে গিয়ে অনেকেই জেরবার। কিন্তু বয়স যতই হোক না কেন, সকলেই চাইবেন সুস্থ শরীরে বাঁচতে। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা কিন্তু খুব কঠিন নয়। বরং দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো বদল আনলে, কয়েকটি সুঅভ্যাস তৈরি করলেই চাপ, একাকিত্ব সামলেও সুস্থ এবং দীর্ঘায়ু হওয়া সম্ভব।
ভালবেসে খান: কড়া ডায়েটের ফাঁদে না পড়ে স্বাস্থ্যকর খাবার, পরিমিত খেলেই ভাল থাকা যাবে। যা খাচ্ছেন তা যদি খেতে ভাল না লাগে, দিনের পর দিন খাওয়া যায় কি? আবার খেতে ভাল লাগছে বলেই ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুড বেশি খাওয়া ঠিক নয়। বরং খাবারে যেন ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ঠিক মতো থাকে, তা দেখুন।
শরীরচর্চা: জিমে যেতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। বরং সকালে, বিকালে যাঁরা নিয়মিত হাঁটেন, ব্যায়াম করেন তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা করুন। তা হলেই শরীরচর্চা আর বিরক্তিকর মনে হবে না।শরীরচর্চা করতে না পারলে, কথায় কথায় গাড়ি চড়ার বদলে কাজের প্রয়োজনে হাঁটাহাটি বেশি করতে পারেন। লিফ্টে ওঠার বদলে বেছে নিতে পারেন সিঁড়ি। ফোনে কথা বলতে বলতেও পায়চারি করতে পারেন।
সুসম্পর্ক: অনেক সময় কাজের চাপে কাছের মানুষগুলির সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়। সপ্তাহান্তে আনন্দ, আড্ডার সঙ্গীও মেলে না। কাজের পাশাপাশি বন্ধু, আত্মীয়, কাছের মানুষগুলির সঙ্গেও সময় বার করে কথা বলতে পারেন। কোনও ক্লাব বা সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারেন। মন ভাল থাকলে অবসাদ, দুশ্চিন্তার মতো সমস্যাও দূরে থাকবে।
ডায়েট: শরীর এবং মন ভাল রাখতে খাবারের ভূমিকা মোটই কম নয়। খাবারের তালিকায় মাছ,মাংসের পাশাপাশি শাকসব্জি, ফল রাখার খুব জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে এই সমস্ত খাবারগুলি সাহায্য করবে।
আর কোনও অভ্যাস: দিনের শেষে একটা ভাল ঘুম জরুরি। আর একই সঙ্গে দীর্ঘ দিন সুস্থ শরীরে বাঁচতে হলে প্রাণায়াম অভ্যাস করতে পারেন। নিয়মিত প্রাণায়ামে মন শান্ত থাকে। ঘোরা, বেড়ানো, ইতিবাচক কাজের মধ্যে যুক্ত থাকলেও সুস্থ এবং ভাল থাকা যায়।