খাওয়ার আগে জল খাবেন, না পরে? ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে আরও রহস্য
কম খেলেই রোগা হওয়া যায় না। ওজন কমাতে সকাল থেকে রাত, কী কী মেনে চলা দরকার?
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ২০:১৫
ওজন কমাতে সকাল থেকে রাত, কী কী মেনে চলা দরকার? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন এক বার বৃদ্ধি পেতে শুরু হলে, তাকে বশে আনতে রীতিমতো সাধ্যসাধনার দরকার হয়। শুধু পরিমিত সুষম আহার, শরীরচর্চাতেই কাজ হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে খাওয়াও জরুরি হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত জল পান ও ঘুমও জরুরি।
রোগা হওয়ার লড়াই শুরু করলে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। এতে ফল মিলতে পারে হাতেনাতে।
সকাল শুরু হোক প্রোটিনে
সকালের খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। আমেরিকার ‘জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত গবেষণা বলছে, সকালের খাবার প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে, টুকিটাকি খাবার ইচ্ছা কমে যায়। দেখা গিয়েছে, কার্বোহাইড্রেটের বদলে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে। সকালের খাবারে ডিম সেদ্ধ বা পোচ, প্রোটিন সমৃদ্ধ স্মুদি রাখা যেতে পারে।
খাবার আগে জল
আমেরিকার ভার্জিনিয়া টেক-এর ডিপার্টমেন্ট অফ হিউম্যান নিউট্রিশন, ফুডস অ্যান্ড এক্সারসাইজ়-এর অধীনে মানবদেহে পুষ্টি সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবার আগে জল খেলে দ্রুত ওজন কমে। ১২ সপ্তাহ ধরে যাঁরা জল খেয়ে খাবার খেয়েছিলেন, দেখা গিয়েছে, তাঁদের ওজন দ্রুত কমেছে। একই খাবার খেয়ে বাকিদের কমেনি। তাঁরা খাবার আগে জল খাননি।
সঠিক খাবার
ফল, সব্জি, ডিম, মাংস, ওট্স, কিনোয়া শরীর ভাল রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সহায়ক। খাদ্যতালিকায় বেশি পরিমাণ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমালে দ্রুত ওজন কমে। তবে সসেজ বা যে কোনও প্রক্রিয়াজাত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে হবে না। বাজারচলতি ফলের রস বা পানীয় বর্জন করতে হবে। কারণ, এতে নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। অনেক সময় উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে। যা ওজন কমানোর পক্ষে অন্তরায় হতে পারে।
শরীরচর্চা জরুরি
ওজন কমাতে গেলে শরীরচর্চাও জরুরি। সকালে উঠে হাঁটাহাটি বা হালকা ব্যায়াম শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। তবে যদি নির্মেদ ও সুগঠিত শরীর পেতে হয়, তবে নিয়ম করে ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করতে হবে। ওজন নিয়েও ব্যায়াম করা জরুরি।
ঘুম
ওজন কমানোর সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক নিবিড়। পরিমিত খাওয়া, শরীর চর্চা, জল খাওয়ার পরেও ওজন না কমার কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। ঠিকমতো ঘুম না হলেই হজমে সমস্যা হবে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হবে। শরীর বিশ্রাম না পেলে, বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। হজমের অভাবে পেট ফোলা-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। বিপাকহার কমে যেতে পারে। ওজন ঝরাতে বিপাকহার ভাল হওয়া প্রয়োজন।
