বসে বসেই কমবে ওজন, কিন্তু কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
পুজো আসতে আর মাস খানেক বাকি। এরই মাঝে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে শরীরের আনাচ-কানাচে। পুজোয় সকলের নজর কাড়তে ইতিমধ্যেই হালফ্যাশনের জামাকাপড় কেনাকাটা হয়ে গিয়েছে। তবে আদৌ সেগুলি গায়ে আঁটবে তো? চিন্তায় মাথায় হাত অনেকের! পুজোর আগে ওজন ঝরানোর কথা ভাবছেন? ডায়েট থেকে শরীরচর্চা সবই শুরু করে দিয়েছেন কেউ কেউ। তবে ওজন বেড়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ হল হজম না হওয়া। হজম ভাল হলেই বিপাক হার বাড়বে, ওজনও ঝরবে দ্রুত। আর হজম ভাল করার উপায় কিন্তু লুকিয়ে সুখাসনেই। নিয়ম করে সুখাসন করলে কিন্তু অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে, হজম ভাল হয় ফলে বিপাক হারও বাড়ে।
কী ভাবে করবেন সুখাসন?
প্রথমে শিরদাঁড়া সোজা করে পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এ বার হাঁটু বেঁকিয়ে নিয়ে বাঁ দিকের পা ডান দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন এবং আপনার ডান দিকের পা বাঁ দিকের হাঁটুর তলায় রাখুন। এ বার হাতের তালু দু’টি হাঁটুর উপরে রাখুন। মাথা, ঘাড় ও শিরদাঁড়া যেন এক সরলরেখায় থাকে। সোজাসুজি তাকিয়ে স্বাভাবিক শ্বাস নিন। এ ভাবে ৬০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে।
সুখাসনে মূলত একটি পায়ের উপর আরেকটি পা রেখে বসা হয়। জাপানে ভাল হজম করার জন্যই মাটিতে বসে খাওয়ার রীতি প্রচলিত। ভারতে এখনও গ্রামেগঞ্জে মাটিতেই পাত পেড়ে বসে খাওয়াদাওয়া করা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, মাটিতে সুখাসনের ভঙ্গিতে বসে খেলে হজমের গোলমাল এড়ানো যায়।
২০ মিনিট মাটিতে সুখাসনের ভঙ্গিতে বসে খাবার খেলে মস্তিষ্ক পেট ভর্তি হয়ে যাওয়ার বার্তা দিতে শুরু করে। মস্তিষ্কের ভেগাস স্নায়ু সেই বার্তা দেয়। মাটিতে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে বেশ কিচু ক্ষণ ধরে খাবার খেলে পেট ভার মনে হয়, খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যায়। তাই অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমে। তাই ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাই পুজোর আগে ওজন বাগে আনতে মাটিতে বসে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।