পুজোর আগে কী ভাবে হবে কৃতির মতো ছিপছিপে চেহারা? ছবি: শাটারস্টক।
পুজো আসতে আর মাসখানেক বাকি। ইতিমধ্যেই চার দিকে সাজ সাজ রব। অনলাইন বিপণিগুলিতে হালফ্যাশনের পোশাক বাছাই শুরু হয়ে গিয়েছে! তবে পুজোর আগে পেট ও তার চারপাশের বাড়তি মেদ রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মেদ কমাতে জিম, যোগাভ্যাস, কড়া ডায়েট— কোনও কিছুতেই খামতি রাখতে নারাজ তরুণ-তরুণীরা। সবই যখন করছেন, তখন ঘরোয়া টোটকাই বা বাদ যায় কেন? রোজ মেথি খেলেও ভুঁড়ি কমতে পারে। কিন্তু মেথিকে ঠিক কী উপায়ে ব্যবহার করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানো সম্ভব, জানতে হবে সেই কায়দা।
মেথি জল: পেটগরম হলে অনেকেই মেথির জল খান। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এই পানীয় কিন্তু খিদেও কমাতেও সাহায্য করে। খাওয়ার ইচ্ছা কমে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এক কাপ জলে ১ টেবিল চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তার পর সকালে জল ছেঁকে খেয়ে নিন খালি পেটে।
মেথি গুঁড়ো: মেথিতে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমাতে পারে। বাজারচলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম জলে মিশিয়ে খান। এই জলে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন।
মেথি চা: সকালে উঠেই চায়ে চুমুক দেওয়ার অভ্যাস? সেই চায়েই দিয়ে দিতে পারেন কয়েকটা মেথি দানা। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তেতো স্বাদ ভাল না লাগলে স্বাদ বৃদ্ধি করতে চায়ে এলাচ বা আদাও দিতে পারেন। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।
অঙ্কুরিত মেথি: ভিটামিন ও নানা খনিজে পূর্ণ মেথি দানা হজমশক্তি বাড়ায়। একটি পাত্রে মেথি বীজ নিয়ে তার উপর একটি ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে জল দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথিও নিয়মিত খেতে পারলে ওজন ঝরবে দ্রুত।