ক্রায়োথেরাপির সঠিক নিয়ম কী? ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে খুললেই চোখে পড়ে কোনও না কোনও বলিউড অভিনেতা কিংবা ক্রিকেটার ‘আইস ওয়াটার বাথ’ নিচ্ছেন। কখনও সমান্থা প্রভু, কখনও আবার বিরাট কোহলি— সমাজমাধ্যমের নয়া ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন অনেক তারকাই। ‘আইস ওয়াটার বাথ’ বা বরফজলে স্নান, ক্রায়োথেরাপি নামেও পরিচিত। এ ক্ষেত্রে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫০-৫৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ঠান্ডা জলে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে হয়। ২০২৩ সালে অভিনেত্রী নেহা শর্মা ‘আইস ওয়াটার বাথ’-এর উপর একটি ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন। শুধু মজার ছলে নয়, এই থেরাপি আদতে কতটা কার্যকর সে বিষয়ও অনুরাগীদের বিস্তারিত জানিয়েছিলেন।
ফিটনেসবিদদের মতে, ক্রায়োথেরাপি বিপাকহার বাড়িয়ে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এই থেরাপির সময় শরীর গরম করার জন্য শরীরের আনাচ-কানাচে জমে থাকা মেদ গলতে শুরু করে। শরীরচর্চা করার পর ক্রায়োথেরাপি নিলে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। জেনে নিন, ক্রায়োথেরাপি নিলে কী কী লাভ হয় শরীরের।
১) প্রদাহনাশ করে
শরীরচর্চা করেই হোক বা অন্য যে কোনও কারণে, দেহে প্রদাহ হলে, তা নির্মূল করতে পারে এই কনকনে ঠান্ডা জল।
২) পেশির ব্যথা কমে
শরীরচর্চা করার পর পেশিতে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। সামান্থার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। পেশির এই ব্যথা নির্মূল করতে পারে বরফগলা জল।
৩) রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে
বরফগলা জল দেহে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে যায় সহজেই।
৪) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে
পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের চাপ সামাল দিতেই কি সামান্থা এমন কনকনে জলে স্নান করছেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন ঠান্ডা জলে স্নান করলে এক প্রোটিনের ক্ষরণ বাড়ে। যা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫) ক্ষত নিরাময় করে
শরীরের কোনও জায়গায় আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। বরফগলা জল সেই ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে।