চেরি ফলের উপকারিতা অনেক। ছবি: ফ্রিপিক।
লাল লাল চেরি ফল দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। চেরি খেতে যে খুব সুস্বাদু, তা নয়, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ অনেক। ডায়াবিটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন চেরি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসটাই চলে যাচ্ছে। ফাঁক পেলেই বাইরের খাবারদাবার খেয়ে পেট ভরাই আমরা। তার উপর শরীরচর্চা না করা, অতিরিক্ত উদ্বেগ এ সব তো আছেই।
সব মিলিয়ে শরীরের বারোটা তো বাজছেই, মানসিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমাদের রোজের খাওয়াদাওয়ায় এমন কিছু রাখা জরুরি, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। পাশাপাশি, অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়তে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে, এমন কিছু নিয়মিত খাওয়া উচিত। এই পরামর্শ মাথায় রাখলে বলা যেতে পারে, চেরি ফল সব দিক থেকেই শরীরের উপকার করে।
চেরি খেলে কী কী লাভ হয়?
১. চেরি ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ একটি ফল। চেরি ফলের ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি আবার ত্বকের জন্যও ভাল।
২. চেরিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা পেশি সবল রাখতে, রক্তচাপের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। চেরি খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই।
৩. চেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। চেরি খেলে প্রদাহজনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে চেরি। নিয়মিত এই ফল খেলে, ওষুধ কম খেতে হবে।
৪. হার্টের জন্যও বেশ ভাল চেরি। কারণ এতে থাকে পলিফেনল, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে চেরি।
৫. চারপাশে মানসিক চাপ আর উদ্বেগ এত বেশি বাড়ছে যে, আজকাল অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। ঘুম কম হওয়া, শরীরে অস্বস্তি, উৎকণ্ঠা দানা বাঁধছে। চেরির ভাল গুণ হল, অনিদ্রার সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে এটি।
৬. নিয়মিত চেরি খেলে পেশির ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথাও কমতে পারে। খেলোয়াড়দের তাই চেরি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। পেশির শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে চেরি।
৭. ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও চেরি কাজে আসে। নিয়মিত চেরি খেলে ব্যথা-বেদনাজনিত অনেক অসুখই দূরে থাকে।