পেটের মেদ ঝরবে ঝটপট। ছবি: ফ্রিপিক।
ব্যস্ত জীবনে রোজ শরীরচর্চা করা হয়ে ওঠে না। তার উপরে ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস তো আছেই। অফিসে যাঁরা দিনভর এক জায়গায় বসে কাজ করেন, হাঁটাহাঁটি বিশেষ করেন না, তাঁদের ওজন বেড়েই চলে। শরীরে বাকি অংশের মেদ ঝরানো যতটা কঠিন, ভুঁড়ি কমানো তার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। যদি সত্যিই ভুঁড়ি কমাতে চান, তা হলে জীবনে কিছু নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিছু খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে, কিছু খাবার খেতে হবে বেশি। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন পাঁচ পানীয় রয়েছে, যা নিয়ম করে খেলে পেট-কোমরের চর্বিও কমবে। ওজনও ঝরবে দ্রুত।
গ্রিন টি
চা দিয়ে বাঙালির দিন শুরু। যে কোনও আড্ডা, কিংবা অবসাদ দূর করতে, অথবা অফিসের ক্লান্তি ভোলাতে কাজের ফাঁকে চা সকলেরই প্রিয়। সকালে এক বার দুধ চা না হলে অনেকের ঠিক নাকি দিন ভাল যায় না। কিন্তু, এই দুধ চা-ই যে আপনার শরীরের অনেক ক্ষতি করে ফেলে, তা আপনার কাছে হয়তো অজানাই। তার বদলে যদি আপনি দিনে দু’বার গ্রিন টি পান করেন, তবে আপনি ঝরঝরে থাকবেন। গ্রিন টি আপনার দেহের রক্ত চলাচলকেও স্বাভাবিক রাখতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
মধু-দারুরচিনির জলপ্রতি দিন মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। বিশেষ করে, মরসুম বদলের সময়। শুধু মধু নয়, খান মধু-দারচিনি মেশানো গরম জল। এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে নিন এক টেবল চামচ কাঁচা মধু ও এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো। এই মিশ্রণ রোজ খেলে উপকার পেতে পারেন বহু শারীরিক সমস্যা থেকে।
ভিনিগার মেশানো গরম জলগরম জলে সামান্য অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে সেই জল নিয়মিত পান করলে অল্প দিনেই পেটের চর্বি কমবে। খাবার হজম হয় ভিনিগার মেশানো জল খেলে।
আনারসের রসভুঁড়ি কমাতে নিয়মিত এক গ্লাস আনারসের রস খেলে তা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। আনারসের রস নিয়মিত খেলে হজম ক্ষমতাও বাড়ে।
পুদিনা পাতার চাগরম কালের সকাল সকাল এক কাপ পুদিনা পাতার চা সারা দিন তরতাজা রাখবে। পুদিনা পাতা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোগা হতে চাইছেন যাঁরা, রোজ যদি পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় খেতে পারেন, সত্যিই উপকার মিলবে। পুদিনার বহু গুণ রয়েছে। ওজন ঝরানোর পাশাপাশি পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও পুদিনা দারুণ উপকারী।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। মেদ কমাতে কী কী খাবেন আর কী কী নয় , তা জানতে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।