Weight Loss Tips

পিসিওডি আছে? পুজোর আগে ওজন ঝরাতে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনবেন?

পিসিওডি-র সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয় মহিলাদের। রোজের অভ্যাসে সামান্য বদল আনলেই হবে মুশকিল আসান। জেনে নিন এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯
Symbolic Image.

জেনে নিন পিসিওডি শরীরে বাসা বাঁধলে কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকেই মনে করেন, পিসিওডি-র শিকার হলেই বুঝি আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই ওজন বাড়তে বাধ্য। আর ওজন এক বার বেড়ে গেলে শত চেষ্টা করেও সেই ওজন ঝরানো যায় না। এই সব ধারণা কিন্তু ভুল। অভিনেত্রী সারা আলি খানও পিসিওডি-র শিকার। একাধিক সাক্ষাৎকারে সারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, পিসিওডি-র কারণে তাঁর ওজন ৯৬ কেজি হয়ে গিয়েছিল। অথচ এখন অভিনেত্রীকে দেখে তা বোঝার জো নেই। ওজন ঝরিয়ে এখন সারা একেবারে ফিট। সমীক্ষা বলছে, পাঁচ জন মেয়ের মধ্যে অন্তত এক জন করে ভোগেন এই সমস্যায়।

Advertisement
Symbolic Image.

পিসিওডি থাকলে অভ্যাসে কিছু বদল আনুন। ছবি: সংগৃহীত।

একটি সময়ের পর থেকে প্রত্যেক মেয়ের শরীরের দু’টি ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে ডিম বেরোতে থাকে। পিসিওডির ক্ষেত্রে ওভারি সাধারণত অপরিণত কিংবা আংশিক পরিণত ডিমে ভরে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে তা জমে জমে সিস্টে পরিণত হয়। নিয়মিত বাইরের তেলমশলাদার খাবার খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, মানসিক চাপের কারণে পিসিওডি-র প্রবণতা বাড়ে। এর ফলে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়, পেটে চর্বি জমে ও ওজন বাড়ে, বন্ধ্যাত্ব এবং চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।

পিসিওডি-র সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয় মহিলাদের। জেনে নিন এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে কী ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

১) ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। বদলে ফাইবারযুক্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং পরিমিত প্রোটিন খেতে হবে। সাধারণ ভাত-রুটির বদলে ব্রাউন রাইস, আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড খেতে হবে, যাতে আছে লো গ্লাইসেমিক রেট। রান্নায় ব্যবহৃত তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। সবুজ শাক, আনাজপাতি বেশি করে খাওয়া দরকার। তবে আম, কলা, আতা, আঁখ, কাঁঠাল বাদ দিলে ভাল হয়। ভাল মানের প্রোটিনও জরুরি। ডিম খেতে হলে কুসুম বাদ দিয়ে খেতে পারেন। অতিরিক্ত তেলযুক্ত মাছ নয়। দুধ খেলে লো ফ্যাট মিল্ক নিন। এ ছাড়া ডাল, ব্রকোলি, বেরি নিয়মিত খেতে পারেন। কফি নয় চা খান।

২) পিসিওডি-র সমস্যা থাকলে খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। অনেকেই ওজন ঝরানোর জন্য খাবার পরিমাণ কমিয়ে নেন, দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকেন— এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়। এর ফলে বিপাকহার কমে যায়, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রতি ঝোঁক আরও বাড়ে। সকালে প্রোটিন-সমৃদ্ধ প্রাতরাশ করুন। প্রাতরাশ না করলেও কিন্তু ওজন বেড়ে যায়।

৩) ব্যায়াম, শারীরিক কসরতের মাধ্যমে যতটা সম্ভব সচল থাকলে, তা সাহায্য করবে এই রোগ মোকাবিলায়। ব্রিস্ক ওয়াকিং, যোগাভ্যাস, জগিং, স্কিপিং, সাঁতার কাটা— নিয়ম করে যে কোনও কিছু রোজ করতে হবে। ওজন যত কমবে, পেটের মেদ যত ঝরবে, ততই সুস্থ থাকবে শরীর। চেষ্টা করুন ভারী কিছু খাওয়াদাওয়ার পরেই ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নেওয়ার। তা হলেই হজম ভাল হবে আর বিপাক হার বাড়বে।

আরও পড়ুন
Advertisement