কোভিড-১৯-এর পরবর্তী সময় চিকিৎসা-বর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসা-বর্জ্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (কেজিএমইউ) শনিবার ‘বায়ো-মেডিক্যাল বর্জ্য ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য টেকসই কাট-এজ প্রযুক্তি’ বিষয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। এই কর্মশালায় বক্তৃতা করতে গিয়ে চিকিৎসক শীতল বর্মা বলেন, ‘‘উন্নয়নশীল দেশগুলির হাসপাতালগুলিতে প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন কিলোগ্রাম জৈব-বর্জ্য তৈরি হয়। কোভিড-১৯-এর পরবর্তী সময় চিকিৎসা-বর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। মহামারি চলাকালীন, ভারত জুড়ে প্রতিদিন ৬৫৬ টন ওজনের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে যে, সারা বিশ্বে চিকিৎসা-বর্জ্যের কারণে সৃষ্ট রোগের ফলে ৪০ লক্ষ শিশু সহ ৫২ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যান।’’
পরিবেশবিদদের মতে, রক্তমাখা তুলো, গজ, সিরিঞ্জের মতো চিকিৎসা-বর্জ্য পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। তাই আর পাঁচটা বর্জ্যের মতো এগুলিও নির্দিষ্ট উপায়ে নষ্ট করে ফেলা উচিত। চিকিৎসা-বর্জ্য নষ্ট করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখনও বড় বড় শহরে চিকিৎসা-বর্জ্য নিয়ে তেমন সচেতনতা এবং পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। শুধু সরকারি নয়, অনেক বেসরকারি হাসপাতালও একই দোষে দুষ্ট।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, কেজিএমইউ-এর উপাচার্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন পুরি, চিকিৎসা-বর্জ্য নিষ্কাশন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা আপডেট করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। হাসপাতালগুলিতে যাতে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়, সেই উদ্দেশ্যে তিনি কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার কথাও বলেন।