শীতকালে সুস্থ থাকতে কিছু খাবার না খাওয়াই শ্রেয়। ছবি: সংগৃহীত।
ডিসেম্বরে হঠাৎ বৃষ্টিতে বেশ ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। এ বার বোধহয় অবশেষে শীত এল। তাতে শীতটা যেন আরও জাঁকিয়ে পড়ল। শীতকাল মন্দ না হলেও ঠান্ডায় সুস্থ থাকা সহজ নয়। এই মরসুমে রোগবালাই লেগেই আছে। সর্দি-কাশি সারছে তো পেটের গোলমাল শুরু হচ্ছে। তা ছাড়া শীতকালীন নানা রোগ তো আছেই। শীতে ফিট থাকতে একটু নিয়মকানুন মেনে চলতেই হয়। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায় একটু নজর দেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে আবার কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। তাতে সুস্থ থাকবে শরীর, শীতকালও দারুণ কাটবে।
ঠান্ডা পানীয়
শীতকাল জুড়ে পার্টি, পিকনিক, উৎসব লেগেই আছে। ফলে না চাইলেও ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক দেওয়া হয়েই যায়। শীতকালে কিন্তু এই ধরনের পানীয় একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। ঠান্ডায় এই ধরনের পানীয় বেশি খেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
কফি
শীতকালে ঘন ঘন কফি কাপে চুমুক দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। পুষ্টিবিদেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, বেশি কফি খেলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে শীতে একটু বুঝেশুনে কফি খাওয়া ভাল।
ভাজাভুজি
ঠান্ডায় মুখরোচক খাবারের প্রতি প্রেম বেড়ে দ্বিগুণ হয়। তবে সুস্থ থাকতে এ ধরনের খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। খেতে ভাল লাগলেও ভাজাভুজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। সুস্থ থাকতে শরীরে ফ্যাট জমতে দিলে চলবে না।
কাঁচা সব্জি
শাকসব্জি শরীরের যত্ন নেয়। কিন্তু শীতকালে কাঁচা সব্জি না খাওয়াই শ্রেয়। সব্জিতে রয়েছে মিনারেলস, ভিটামিন। তবে কাঁচা খেলে আবার হজমের গোলমাল হতে পারে। তাই শীতকালে সব্জি রান্না করে খাওয়াই ভাল।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
শীতকালে জমিয়ে সসেজ, বেকন খেতে মন্দ লাগে না। তবে এ ধরনের খাবার স্বাদের যত্ন নিলেও শরীরের খেয়াল রাখে না। সুস্থ থাকতে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এই খাবারে থাকা ফ্যাটের কারণে মেদ জমতে থাকে।