বিরিয়ানি, পোলাও খেয়ে শুধু ব্যায়াম করলে কিন্তু রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। প্রতীকী ছবি।
ওজন কমানোর পর্বে কী খাচ্ছেন, সেটা অত্যন্ত জরুরি। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে। তেমনটাই মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ওজন কমাতে শরীরচর্চার বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছামতো বিরিয়ানি, পোলাও খেয়ে শুধু ব্যায়াম করলে কিন্তু রোগা হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। ওজন বশে রাখতে অনেকেই খাওদাওয়ার ব্যাপারে নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি একসঙ্গে খেলে উল্টে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
চায়ের সঙ্গে মুখরোচক ‘টা’
অফিস থেকে ফিরে সারা দিনের ক্লান্তি মুছে ফেলতে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সন্ধ্যার জলখাবারে চায়ের সঙ্গে নানা রকম মুখরোচক খাবারও থাকে। চা আর তেলেভাজার এই যুগলবন্দি অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে ওজন। চায়ে থাকা ট্যানিনস এবং ক্যাফিন তেলের সংস্পর্শে এসে গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। গ্যাসের সমস্যা কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
দুধ এবং কলা
সকালের খাবারে এই দু’টি খাবার একসঙ্গে অনেকেরই পাতে থাকে। দুধ এবং কলা দু’টিই আলাদা ভাবে দারুণ উপকারী। দু’টিই স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে অন্য অনেক খাবারকে পিছনে ফেলে দেয়। কিন্তু এই দু’টি খাবার একসঙ্গে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুধ এবং কলা খাওয়ার মাঝে অন্তত ২০-৩০ মিনিটের ফারাক থাকা জরুরি।
ভারী খাবার খাওয়ার পর মিষ্টি
অনেকেরই খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস। ভাত কিংবা রুটি খেয়ে একটু মিষ্টি মুখ না করলে চলে না। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ভারী খাবার খেয়ে মিষ্টি খাওয়া ঠিক নয়। তাতে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ ভরা পেটে মিষ্টি খেলে শরীরের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। খাবার খাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট পরে মিষ্টি খাওয়া জরুরি।
ভাত এবং রুটি
অনেকটা ভাত খেলে ওজন বাড়ে বলে জানা আছে। তবে অনেকেরই ধারণা ভাত এবং রুটি মিশিয়ে খেলে বোধ হয় ওজন বশে রাখা যায়। তাই কেউ কেউ খানিকটা ভাত আর দু’-একটি রুটি দিয়ে দুপুর বা রাতের খাওয়া সারেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ভাত এবং রুটি একসঙ্গে খাচ্ছেন মানে শরীরে বেশি পরিমাণে স্টার্চ যাচ্ছে। ওজন তো বাড়ছেই, সেই সঙ্গে হজমের গোলমালেরও আশঙ্কা থাকছে।