শরীরের যত্ন নেয় খাবারের যে জুটিগুলি। ছবি: সংগৃহীত।
ফিট থাকতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না কেউই। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট, ফিটনেস বজায় রাখতে অনেকেই শরীরের বাড়তি যত্ন নেন। আবার সাপ্লিমেন্টও খান অনেকে। পুষ্টিবিদেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, ফিট থাকা যতটা কঠিন মনে হয়, ততটাও নয়। সুস্থ থাকতে গেলে কিছু খাবারে ভরসা রাখলেই চলবে। স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা অতি দীর্ঘ। তবে কিছু খাবার একসঙ্গে খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ভিতর থেকে চাঙ্গা থাকবে শরীর। আলাদা না খেয়ে কোন খাবারগুলি একসঙ্গে খেলে বেশি সুফল পাবেন?
দুধ, কলা এবং খেজুর
তিনটি খাবারই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে আলাদা ভাবে না খেয়ে যদি একসঙ্গে খেতে পারেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন। প্রতিটি খাবারে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই উপাদানগুলি যদি শরীরে একসঙ্গে প্রবেশ করে তাহলে বাড়তি সুফল পাওয়া যাবে। চনমনে হবে শরীর। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
হলুদ দুধ এবং গোলমরিচ
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খান অনেকেই। এই হলদি দুধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় শরীরে। তবে আরও বেশি সুফল পেতে পারেন যদি ওই পানীয়ে গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে পারেন। গোলমরিচ আর হলুদের গুণে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে।
টক দই এবং ভাত
ভাতের সঙ্গে টক দই খাওয়ার অভ্যাস সত্যিই উপকারী। অনেকেই দই-ভাত খান। দই এবং ভাত একসঙ্গে খেলে শরীরে প্রোটিন আর প্রোবায়োটিকও পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। দই-ভাত হজমের গোলমাল কমায়, হাড়ের যত্ন নেয়।
রুটি এবং ঘি
রুটির সঙ্গে ঘি মাখিয়ে খেলে অনেকটা পরোটার মতো লাগলেও, খাবারের এই দুই জুটি স্বাস্থ্যগুণে অনেকটাই এগিয়ে। রুটিতে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার। হজমের গোলমাল কমাতে ফাইবারের জুড়ি মেলা ভার। ঘিয়ে রয়েছে ‘ল্যাক্সেটিভ’ উপাদান, যা ডায়েটারি ফাইবারের সঙ্গে মিশে শরীরের খেয়াল রাখে।