একটানা ঘাড়গুঁজে কাজ করার ফলে এমনিতে ঘাড়ে ব্যথা হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি।
সামনে ল্যাপটপ খোলা। অফিসে বসে এক ভাবে ঘাড় গুঁজে কাজ করে চলেছেন। কাজের এত চাপ যে, কম্পিউটারের পর্দা থেকে চোখ তোলারও সময় নেই। দীর্ঘ ক্ষণ এ ভাবে কাজ করার পর আর থাকতে না পেরে বিরতি নিলেন। রাতে টেবিলল্যাম্প জ্বালিয়ে বই পড়ার অভ্যাস। অনেক রাত পর্যন্ত ঘাড় নিচু করে বই পড়েন। একটানা ঘাড়গুঁজে কাজ করার ফলে এমনিতে ঘাড়ে ব্যথা হয়ে যায়। এই ধরনের ব্যথার মূলে রয়েছে দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা, কম্পিউটারের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার মতো অভ্যাস। এমন কিছু কারণে ঘাড়ে ব্যথার প্রকোপ বাড়ছে ক্রমশ। আট থেকে আশি— অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। আবার ভারী কোনও জিনিসপত্র তোলার সময়ে অসাবধনতাবশত ঘাড়ে লেগে যেতে পারে। যে কারণেই হোক, ব্যথা হলে প্রথম থেকেই চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। অবহেলা করলে পরে বড় কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১) অফিসে কাজের চাপ থাকবে। তাই বলে শরীরের প্রতি অযত্ন ঠিক নয়। এক টানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ না করে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর বিরতি নিন। প্রথমে মাথা নিচু করে কয়েক মিনিট বসে থাকুন। তার পর চোখের সোজাসুজি কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকুন। কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই এটা করুন।
২) অনেক সময়ে এক টানা কয়েক দিন খুব ভারী ব্যাগ বইতে হলে ঘাড়ে এমন ব্যথা হয়। তাই ভারী ব্যাগ সব সময়ে বহন করবেন না। যতটুকু জিনিস প্রয়োজন, সেগুলিই ব্যাগে রাখুন। ব্যাগ বেশি ভারী হয়ে গেলে ঘাড়ের পেশিতে চাপ পড়বে। পেশিগুলি স্থিতিস্থাপকতা হারাবে।
৩) ঘাড়ে ব্যথা যদি দীর্ঘ দিন থাকে, সে ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করা বন্ধ করুন। বালিশ ছাড়া সোজা হয়ে ঘুমোলে ঘাড়ের পেশিগুলি ধীরে ধীরে নমনীয়তা ফিরে পাবে।
৪) শরীরচর্চার অভ্যাস ছাড়বেন না। শরীরচর্চা না করলে যে সমস্যাগুলি দেখা দেবে, তার মধ্যে অন্যতম হল ঘাড়ে ব্যথা। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করা জরুরি। ঘাড়ে ব্যথা হলেও শরীরচর্চার অভ্যাস ছাড়বেন না। বরং ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।