‘বড়দিন’-এর কেক গরমকালে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। ছবি: আইস্টক
বাইরে যেমন রোদ, তেমন ভ্যাপসা গরম। খিদে পেলেও মুখে কিছুই যেন ভাল লাগছে না। বাড়িতেও পেট, শরীর ঠান্ডা করা নিয়ে অনবরত ঝামেলা হচ্ছে। দু’বেলা চারামাছের ঝোল, ভাত আর টক দই খেতে হচ্ছে। মুখে রুচি নেই বলে যে একটু স্বাদবদল করবেন, তার উপায় নেই। এই গরমে নাকি বিরিয়ানি খাওয়া মহা পাপ। বেশি চা, কফি খেলেও নাকি শরীর কষে যেতে পারে। এখন সমস্যা হল যে দেশে প্রায় সারা বছরই গরমকাল, সেখানে যদি তাপমাত্রার কথা ভেবে খাবার নির্বাচন করতে হয়, তা হলে তো আর কথাই নেই। তবে অতিরিক্ত ঘামলে শরীর থেকে জল শুকিয়ে যায় তা জানেন। শরীরে জলের ঘাটতি হলে নানা রকম সমস্যাও হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে গেলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
১) চা, কফি
ঠান্ডার মরসুমে উষ্ণতার পরশ পেতে বার বার চা, কফি খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে গরমকালে বার বার এই পানীয় খেলে শরীরে জলের অভাব তৈরি হতে পারে। গরমে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) তেল-মশলাযুক্ত খাবার
উৎসব, অনুষ্ঠানে এক-আধটা দিন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা অভ্যাসে পরিণত হলেই মুশকিল। এই গরমে অতিরিক্ত মশলা দেওয়া রগরগে খাবার খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
৩) মাটির তলার সব্জি
গাজর, বিট, মুলো জাতীয় সব্জিগুলি সাধারণত শীতকালে খাওয়াই ভাল। কারণ, এই সব সব্জিতে থাকা উপাদানগুলি শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। তবে সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিদেরা যে হেতু সব্জি খাওয়ার উপর বেশি জোর দেন, তাই গরমকালেও এই সব সব্জি ডায়েটে জায়গা করে নেয়।
৪) মাংস
শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে অনেকেই মাংসের উপর ভরসা করেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মাংস যদি খেতেই হয়, তবে তা মুরগির হওয়াই শ্রেয়। খাসি, ভেড়া বা ওই জাতীয় মাংস গরমে খেলে দেহের উত্তাপ বেড়ে যেতে পারে।
৫) কেক, পেস্ট্রি
ময়দা, মাখন, ডিম এবং ক্রিম দেওয়া কেক বা পেস্ট্রি এখন সারা বছরই দোকানে পাওয়া যায়। তবে গরমকালে এই জাতীয় খাবার না খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।