কফি খাওয়া কমাবেন কোন উপায়ে? ছবি- সংগৃহীত
পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়ার জন্য বা অফিসের কাজের চাপের মাঝে, ক্লান্তিতে চোখ ভার হয়ে এলে কফির কোনও বিকল্প নেই। মানসিক চাপের কারণে আমরা অতিরিক্ত কফিও খেয়ে ফেলি কখনও। আর তার থেকেই শুরু হয় নানা সমস্যা। গ্যাস তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে ডিহাইড্রেশন, সবই ডেকে আনতে পারে মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস।
পুষ্টিবিদদের মতে, কফিতে ক্যাফিন থাকে। তা হল ন্যাচারাল ডাই-ইউরেটিক প্রকৃতির। অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গেই কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে বার বার প্রস্রাব পাওয়ায় শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও দ্রবণীয় মিনারেল বার করে দেয়। সোডিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি ঘটে। তাই দিনে খুব বেশি ক্যাফিন শরীরে না যাওয়াই ভাল। ভাবছেন রোজের ডায়েটে কী ভাবে ক্যাফিনের মাত্রা কমাবেন?
১) যে কোনও খাবার জিনিস কিনতে হলে ভাল করে দেখে নেবেন, তাতে ক্যাফিন আছে কি না। গ্রিন টি, চকোলেট, আইসক্রিম, আইস টিতেও ক্যাফিন থাকে। তাই খাওয়ার আগে দেখে নেওয়াই শ্রেয়।
২) অতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ বন্ধ করে দেবেন না। ধীরে ধীরে এই অভ্যাসের উপর রাশ টানতে হবে। হঠাৎ কফি খাওয়া বন্ধ করে দিলে মাথা ধরা, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, কান্তিবোধের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) কফি খাওয়ার বদলে ওই সময়ে অন্য কোনও স্বাস্থ্যকর পানীয়তে চুমুক দিতে পারেন। ডি-টক্স ওয়াটার এ ক্ষেত্রে খুব ভাল বিকল্প।
৪) অনেকের অভ্যাস বড় কাপ ভরে কফি খাওয়ার। খুব ইচ্ছা করলে ছোট কাপে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। দিনে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি খাওয়া মোটেই ভাল নয়। তাই মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেই হবে।