সবুজ মুগে রয়েছে কপার, ফাইবার এবং প্রোটিন-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। ছবি: সংগৃহীত।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে ডাল খুবই উপকারী। বিশেষ করে যাঁরা নিরামিষ বা ভিগান খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের শরীরে সিংহভাগ প্রোটিনের জোগান দেয় ডাল। সাধারণ ডাল-ভাত খাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খোসা-সহ মুগ ডাল ভিজিয়ে বা রান্না করেও খেতে পছন্দ করেন। রাতে রুটির সঙ্গে তড়কা খেতেও ভালবাসেন অনেকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সবুজ মুগ ডাল খেয়েই কিন্তু দেহের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলা যায়। সবুজ মুগে রয়েছে কপার, ফাইবার এবং প্রোটিন-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। যা শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে।
দেহের ওজন ঝরাতে সবুজ মুগ কী ভাবে সাহায্য করে?
১) ক্যালোরি কম
এক কাপ সবুজ মুগ সেদ্ধ খেলে তা থেকে পাওয়া যায় ২১২ ক্যালোরি। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, কিছু খাওয়ার পরেই ফোনের অ্যাপে ক্যালোরির পরিমাণ হিসাব করেন, তাঁরা কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন সবুজ মুগ ডাল।
২) প্রোটিনে ভরপুর
চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, একটা বয়সের পর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন নির্ভর খাবার খেতে। নিরামিষ খাবার খান যাঁরা বা ভিগান ডায়েটে ভরসা করেন, তাঁদের শরীরে প্রোটিনের জোগান দিতে পারে এই সবুজ মুগ।
৩) ফাইবার বেশি
সবুজ মুগের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। হজমের সমস্যা থাকলেও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই মুগ ডাল। তা ছাড়া, ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৪) বিভিন্ন উপাদানে ভরপুর
ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অত্যন্ত জরুরি খনিজ এবং নানা রকম ভিটামিন রয়েছে সবুজ মুগডালে। শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য এই সব উপাদান প্রয়োজনীয়।
৫) ফ্যাটের পরিমাণ কম
অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবারে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে, সবুজ মুগডালে তা নেই বললেই চলে। বরং এই ডালে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। যা হার্টের জন্য ভাল। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ফ্যাট।