সকালে উঠবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
দশ বছর টানা ‘মর্নিং স্কুল’ করেও ভোরে ওঠার অভ্যাস হয়নি। সকালে কোথাও যেতে হলে সারা রাত জেগে থাকতে হয়। না হলে কোনও দিন সময়ে পৌঁছতে পারেন না। বেলা পর্যন্ত শুয়ে থাকার ফল যে খুব ভাল নয়, তা জানেন। মধ্যবয়সে পৌঁছতে না পৌঁছতেই নানা রকম রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করবে। মনমেজাজ ভাল রাখতেও তাড়াতাড়ি দিন শুরু করা জরুরি। আসলে আমাদের শরীর নির্দিষ্ট একটি ঘড়ি মেনে চলে। ‘সার্কাডিয়ান ক্লক’ অনুযায়ী, যে সময় থেকে শরীর নামক ‘যন্ত্রটি’ শারীরবৃত্তীয় কাজ করতে শুরু করে, সেই সময়েই ঘুম থেকে উঠে পড়া উচিত। সকালে তাড়াতাড়ি উঠবেন কিন্তু ঘুমে ঘাটতি হলে চলবে না। তাই নিয়ম মেনে ঘুমিয়েও পড়া উচিত। না হলে ছন্দপতন হতেই পারে। আর কোন কোন কারণে সকালে ওঠার অভ্যাস করতে হবে?
১) কর্মদক্ষতা বেড়ে যায়
একা হাতে সব দিক সামলাতে গেলে আগে থেকে কিছু পরিকল্পনা করে রাখা জরুরি। তার জন্য যে সময় প্রয়োজন তা নেই। ঘুম থেকে উঠতে যদি রোজই দেরি হয়ে যায় তা হলে কখন কী করবেন, তা বুঝে ওঠা মুশকিল। তাই সকালে উঠতে পারলে হাতে একটু বেশি সময় পাওয়া যায়।
২) মনমেজাজ ভাল থাকে
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সকাল সকাল দিন শুরু করতে বলেন মনোবিদেরা। সকালে আশপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে। ফলে মনকে যদি বশে রাখতে চান, ধ্যান বা মেডিটেশন অভ্যাস করার জন্য এই সময়টিই উত্তম।
৩) নিজের জন্য সময়
কাজ, দায়দায়িত্ব সামলে দিনের বেশ খানিকটা সময় নিজের জন্য রাখতে হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার বেশির ভাগটাই তো কাজেকর্মে কেটে যায়। বাকি সময় থেকে নিজের জন্য আলাদা করে সময় বার করতে গেলে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠতেই হবে।
৪) শরীরচর্চা করার সময়
অনেকেই মনে করেন শরীরচর্চা করার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয় না। কাজের মাঝে একটু সময় পেলেই কসরত করে ফেলা যায়। তবে মতান্তরও রয়েছে। শরীরচর্চার সুফল পেতে গেলে সকাল সকাল গা ঘামানোই ভাল।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
সকালের রোদ গায়ে মাখতে পারলে শরীরে স্বাভাবিক ভাবেই ভিটামিন ডি তৈরি হয়। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সকালে উঠতে হবে।