কত ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়? ছবি: সংগৃহীত।
লাল চোখ ফুলে রয়েছে, পিচুটির জন্য চোখ খুলে তাকানো যাচ্ছে না— এমন পরিস্থিতি দেখেই ওষুধের দোকানে ভিড় করছেন অনেকে। নিজেরাই দাবি করছেন, তাঁদের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে। এর পরেই দোকানদারের থেকে চেয়ে নিচ্ছেন চোখের ড্রপ। প্রেসক্রিপশন না থাকলে কিছু দোকানদার ফিরিয়ে দিচ্ছেন বটে, তবে কিছু দোকানদার আবার নিজেদের জ্ঞানেই দিয়ে দিচ্ছেন চোখের ড্রপ।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ভাবে নেওয়া ড্রপই চোখের বড় ক্ষতি করতে পারে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চোখে আদৌ কী ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে, ব্যাক্টেরিয়াঘটিত না কি ভাইরাসঘটিত, সে সব না বুঝে আন্দাজে ড্রপ দিলে তা সরাসরি কর্নিয়ার ক্ষতি করতে পারে। কর্নিয়া ঝাপসা হয়ে কমতে পারে দৃষ্টিশক্তি। তাই সবার আগে জানা দরকার কত ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস আছে? কী ভাবেই বা সতর্ক হবেন?
অ্যালার্জির কারণে কনজাঙ্কটিভাইটিস: ফুলের রেণু, পোষ্যের লোম, ধূলিকণার কারণেও কনজাঙ্কটিভাইটিস হতে পারে। চোখ লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়, চোখ থেকে অনবরত জল পড়ার মতো সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে তেমন পিচুটির সমস্যা হয় না।
ব্যাক্টেরিয়াঘটিত কনজাঙ্কটিভাইটিস: চোখে হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনিয়া বা স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াসের মতো জীবাণু আক্রমণ করলে এই ধরনের কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়। চোখে লাল ভাব, চুলকানি এবং চোখে হালকা হলুদ কিংবা সবুজ রঙের পিচুটি জমাট বাঁধলে সতর্ক হোন।
ভাইরাসঘটিত কনজাঙ্কটিভাইটিস: অ্যাডিনোভাইরাস, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস (এইচএসভি) কিংবা ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস (ভিজেডভি)-এর সংক্রমণের কারণে এই কনজেক্টিভাইটিস হয়। লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, চোখে ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে অনবরত জল বেরোনো।
রাসায়নিক থেকে কনজাঙ্কটিভাইটিস: ক্লোরিন বা ডিটারজেন্টের মতো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে এই সংক্রমণ হয়। চোখ দিয়ে জল পড়া, লালচে ভাব, চোখে চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে এ ক্ষেত্রে।
জায়ান্ট প্যাপিলারি কনজাঙ্কটিভাইটিস: কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে কিংবা চোখে ময়লা বা ধুলো কণার ঠুকলে সেই থেকে সংক্রমণ হয়ে এই ধরনের কনজেক্টিভাইটিস হতে পারে। তাই কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের সময় বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয় সব সময়ে। হাত খুব ভাল করে পরিষ্কার করে তবেই লেন্স পরা উচিত, না হলে কনজেক্টিভাইটিসের ঝুঁকি থাকে।