Remedies for Hemorrhoids

অর্শের সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না? জীবনধারায় ৫ বদল আনলেই মিলবে স্বস্তি

অর্শের সমস্যা বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু আগেভাগেই সতর্ক হয়ে জীবনযাপনে বদল আনলে প্রতিরোধ করা যায় রোগটি। জেনে নিন অর্শ থাকলে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনান জরুরি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১৫:০৩
অর্শের হাত থেকে রেহাই পেতে বদলে ফেলুন ৫ অভ্যাস।

অর্শের হাত থেকে রেহাই পেতে বদলে ফেলুন ৫ অভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত।

লিঙ্গ, বয়স নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে অর্শের সমস্যা। তবে পরিবারের কারও অর্শ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খানিকটা হলেও বেড়ে যায়। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাঁদের এই ঝুঁকি আরও বেশি। শুরুতে সতর্ক হলে রোগ বাড়তে পারে না। তবে, বহু ক্ষেত্রেই সঙ্কোচবশত অসুখের কথা গোপন করেন রোগী। রোগ বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু আগেভাগেই সতর্ক হয়ে জীবনযাপনে বদল আনলে প্রতিরোধ করা যায় রোগটি। জেনে নিন অর্শ থাকলে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনান জরুরি।

Advertisement

১) রোজের ডায়েটে বিভিন্ন রকমের শাক-সব্জি রাখতে হবে। মরসুমি সব্জি খেতে হবে নিয়ম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ডায়েটে ঢ্যাঁড়শ রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি, ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে নিয়মিত। দুপুরের ভোজে পালং শাক, নটে শাক বা যে কোনও শাক অবশ্যই রাখুন। পটল, শসার মতো সব্জি খোসাসমেত খাওয়ার চেষ্টা করুন।

২) দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থেকে এক টানা কাজ করলে অর্শের সমস্যা কিন্তু বেড়ে যায়। তাই অফিসে কাজের ফাঁকে উঠে খানিক ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। খাবার খাওয়ার পর এক জায়গায় বসে না পড়ে কিংবা ঘুমিয়ে না পড়ে, হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন। লিফ্‌টে বেশি না চড়ে চেষ্টা করুন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা শরীরচর্চার জন্য বরাদ্দ রাখুন।

৩) জল কম খেলেও মলত্যাগের সময়ে সমস্যা বেশি হয়। জলশূন্যতা বা ডিইাইড্রেশনের সমস্যা থাকলে অর্শ কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়বে। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল খাওয়া চাই-ই চাই।

৪) ভোজে প্রায়ই খাসি কিংবা মুরগি থাকে? তা হলে সমস্যা তো বাড়বেই। মাংসে ভরপুর প্রোটিন থাকলেও ফাইবার থাকে কম। আর ফাইবার কম থাকলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। প্রোটিন হিসাবে ডিম খেতে পারেন। মাছও খাওয়া যায় অনায়াসে।

৫) অর্শের সমস্যা কমাতে রোজ পেট পরিষ্কার করতে হবে। সেই কাজে সাহায্য করতে পারে ইসবগুল। অনেকেই রাতে শুতে যাওয়ার আগে জলে গুলে খেয়ে নেন এই খাবার। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। ইসবগুল খাওয়ার জন্য সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে না। তবে সমস্যা বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছে গেলে ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরমার্শ নেওয়া জরুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement