Sleeping Disorder

হঠাৎ সব কিছু ভুলে যাচ্ছেন? ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে তো?

একটি দীর্ঘ আরামদায়ক ঘুমের পরেও যদি সারা ক্ষণ ঘুম পায়, ক্লান্ত লাগে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক এটিকে নিদ্রাজনিত অসুখ বলে চিহ্নিত করছেন। আপনিও কি ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’-এ ভুগছেন? কোন লক্ষণ দেখে তা বুঝবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৬
Five signs you may need more sleep.

আপনি কি সব কিছু ভুলে যাচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত।

রাতের পর রাত জেগে থাকতে হয়, কিছুতেই ঘুম আসতে চায় না। এর ফলে অনিদ্রাজনিত অন্যান্য অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। অনেকেই আবার পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও সারা ক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন। এমন হওয়াটাও কিন্তু স্বাভাবিক নয়। একটি দীর্ঘ আরামদায়ক ঘুমের পরেও যদি সারা ক্ষণ ঘুম পায়, ক্লান্ত লাগে, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক এটিকে নিদ্রাজনিত অসুখ বলে চিহ্নিত করছেন। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’ বলা হয়। আপনিও কি ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’-এ ভুগছেন ? কোন লক্ষণগুলি দেখে তা বুঝবেন?

Advertisement
Five signs you may need more sleep.

পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্তি কাটছে না? ছবি: সংগৃহীত।

দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, সারা ক্ষণ ক্লান্তিবোধ, মাঝরাতে ঘুমের মাঝে জেগে ওঠা, এক বার ঘুম ভেঙে গেলে দীর্ঘ ক্ষণ ঘুম না আসা, দিনের যে কোনও সময়ে প্রবল ঘুম পাওয়া, জোরে জোরে নাক ডাকা— ঘুম সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলি দেখা দিলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে আপনার পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে না?

১) সারা ক্ষণ ভাজাভুজি কিংবা বাইরের খাবার খেতে মন চাইছে? অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়লে বুঝবেন আপনার ঘুম ঠিক মতো হচ্ছে না।

২) বার বার জল খেয়েও শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে? অস্বস্তিবোধ, সারা ক্ষণ জল তেষ্টা পাওয়াও কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এমনটা হতে পারে।

৩) হঠাৎ সব কিছু ভুলে যাচ্ছেন? ঘুমের সমস্যা হলে কিন্তু এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক হোন।

৪) দিনে একাধিক বার কফি খেয়ে থাকেন অনেকেই। এই অভ্যাসের কারণেও অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়। অত্যধিক মাত্রায় ক্যাফিন শরীরে গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে কোনও কারণ ছাড়াই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ঘুমের অসুখের লক্ষণ হতে পারে।

৫) ঘন ঘন অসুখে পড়ছেন? জ্বর, সর্দি-কাশি মাঝেমধ্যেই কাবু করছে? ঘুমের অভাব হলে কিন্তু শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়, তাই শরীরে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া সহজেই হানা দিতে পারে। তাই ঘন ঘন অসুস্থ হলেও সতর্ক হোন।

আরও পড়ুন
Advertisement