পুষ্টিকর মানেই বেশি খাওয়া যায় না! ছবি: সংগৃহীত।
বুড়ো বয়সে যাতে অস্টিয়োপোরোসিসে ভুগতে না হয়, তাই রোজ সকালে ৫-৬টা ভেজানো কাঠবাদাম খান। এমনি দুধ খেলে পেটের সমস্যা হয়, তাই কাঠবাদামের দুধ খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে। আবার বাড়িতে তৈরি কেক বা পায়েসের মধ্যেও কাঠবাদাম দিয়ে দেন বেশি করে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজ চার-পাঁচটি কাঠবাদামই শরীরের জন্য যথেষ্ট। যদি কাঠবাদামের দুধ খাবেন বলে মনে করেন, সে দিন সকালে না হয় কাঠবাদাম খেলেন না। উপকারের আশায় বেশি করে এই বাদাম খেয়ে ফেলা কিন্তু মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়। তাতে বরং হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
কাঠবাদাম বেশি খেলে শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) হজমের গোলমাল
কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। তা হজমের গোলমাল কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফাইবার থাকা সত্ত্বেও বেশি কাঠবাদাম খেলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। শীতে গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই হতে পারে।
২) কিডনির সমস্যা
কাঠবাদামে রয়েছে অক্সালেট। এই উপাদান কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই শীতকালে কাঠবাদাম যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। কিডনিতে পাথর ছাড়াও অক্সালেট কিডনি সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
৩) অ্যালার্জির সমস্যা
শীতকালে অত্যধিক কাঠবাদাম খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। কাঠবাদাম খেলে অ্যালার্জির সমস্যা সাধারণত হয় না। তবে আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকলে শীতে কাঠবাদাম খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি।
৪) ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে
কাঠবাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে বেশি খেলে ওজন বেড়েও যেতে পারে। এমনিতে শীতকালে শরীরচর্চার অভাব ঘটে। তার উপর অত্যধিক কাঠবাদাম খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৫) ভিটামিন ই-র পরিমাণ বাড়লেও বিপদ
কাঠবাদাম হল ভিটামিন ই-র সমৃদ্ধ উৎস। কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ভিটামিন ই শরীরের খেয়াল রাখে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন ই শরীরে গেলে ডায়েরিয়া, বমি, মাথাঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।