প্রতীকী ছবি।
পরিকল্পনা ছাড়া সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক মহিলাই ভরসা রাখেন গর্ভনিরোধক বড়ির উপরে। অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে এই ধরনের ওষুধ খান। কোনও ক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই নিজের হয়। অত্যধিক হারে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেগুলি জেনে নেওয়া জরুরি।
মানসিক অবসাদ
দীর্ঘ দিন ধরে গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অত্যধিক পরিমাণে গর্ভনিরোধক বড়ি না খাওয়াই শ্রেয়। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় এর ফলে। সেখান থেকেই জন্ম নেয় অবসাদ।
স্পটিং
গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার ফলে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে, স্পটিং তার মধ্যে অন্যতম। ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অল্প রক্তপাত হওয়াকে স্পটিং বলা হয়। সেটা বেশ অস্বস্তির। ঋতুস্রাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে মাসের অন্য সময়েও কিন্তু হতে পারে এমন। তাই গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানা জরুরি।
ওজন বেড়ে যাওয়া
অনিচ্ছাকৃত সন্তানধারণ আটকানোর এই ওষুধ নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে যাঁদের ওজন একটু বেশির দিকে, তাঁদের চেহারা আরও ভারী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। গর্ভনিরোধক ওষুধ যদি খেতেই হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়াই শ্রেয়।
চোখের সমস্যা
গর্ভনিরোধক ওষুধ হরমোনের ভারসাম্যে রক্ষায় বিঘ্ন ঘটায়। এই হরমোন ক্ষরণের সমতা বজায় না থাকার কারণে তার প্রভাব পড়ে চোখের উপর। চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ থেকে জল পড়ার মতো সমস্যাগুলি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
রক্ত জমাট বাঁধা
উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথচ গর্ভনিরোধক বড়ি খাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এমনকি, স্ট্রোক হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।