ঠান্ডা জল খাওয়াও হবে, অথচ শরীর খারাপও হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
কড়া রোদ থেকে ফিরেই ফ্রিজ়ের ঠান্ডা জল খেয়ে ফেলার অভ্যাস অনেকেরই আছে। আর এই অভ্যাসের জন্য সমস্যাতেও পড়তে হয় মাঝেমধ্যে। সর্দিগর্মিতে কাবু হয়ে পড়েন কেউ কেউ! তবে কি ঠান্ডা জল খাওয়ার উপায় নেই? মাটির পাত্র কিন্তু আপনার মুশকিল আসান করতে পারে। মাটির পাত্রে জল রাখলে তা যেমন ঠান্ডা থাকে, তেমনই শরীরেরও উপকার হয়। মাটির পাত্রে অসংখ্য আণুবীক্ষণিক ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলি দিয়ে অল্প পরিমাণ জল চুঁইয়ে বাইরের পৃষ্ঠে আসে ও বাষ্পীভূত হয়। জল বাষ্পীভূত হওয়ার সময়ে কিছুটা তাপ শোষণ করে নেয়। ফলে ঠান্ডা থাকে পাত্র। গরমের দিনে ঠান্ডা জল খেতে হলে ফ্রিজ়ের জল না খেয়ে মাটির কলসির জল খাওয়াই ভাল। জেনে নিন, রোজকার জীবনে এই সামান্য বদল আনার পর কী কী লাভ হবে শরীরের?
১) পাকস্থলীতে খাবার হজমের জন্য অনেক রকম অ্যাসিড তৈরি হয়। মাটির পাত্রে জল রাখলে জলে ক্ষার জাতীয় উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে এই জল খেলে পেটের বিভিন্ন প্রকার অ্যাসিড কিছুটা প্রশমিত হয়, অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় থাকে। গরমে হজম করতে অসুবিধা হয়, মাটির পাত্রে রাখা জল খেলে ভাল হজম হয়।
২) মাটির পাত্রে জল রাখলে জলে মিশে যায় হরেক রকমের খনিজ পদার্থ। ফলে দেহে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলির অভাব হয় না। বিপাক প্রক্রিয়াও ভাল হয়।
৩) নানা কাজের প্রয়োজনে না চাইলেও রোদে বেরোতে হয় অনেককেই। তীব্র গরমে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব দেখা দেয়। বাড়ি ফিরে সেই সময়ে মাটির পাত্র থেকে জল খেলে স্বস্তি মেলে। এতে থাকা খনিজ ও ভিটামিন শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
৪) ফ্রিজ়ের কনকনে ঠান্ডা জল খেলে গলায় সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁরা অনেক বেশি সমস্যায় পড়েন ফ্রিজ়ের জল খেলে। অথচ মাটির পাত্রের জল খেলে শরীর তৃপ্ত হয় আর এতে গলার সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে না।
৫) মাটির পাত্রে জল রাখলে তা ফিল্টারও হয়ে যায়। মাটির পাত্রে জল রাখলে তা পরিস্রুত হয় নিজে থেকেই। জলের স্বাদও বাড়ে।