Diabetes Control

বাবা-মায়ের ডায়াবিটিস আছে? ৫ অভ্যাসে রাশ না টানলে আপনারও ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে

রোজকার কিছু অভ্যাসেও ডায়াবিটিস বাসা বাঁধে শরীরে। বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস থাকলে রোগের ঝুঁকি এড়াতে কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানবেন, রইল হদিস।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৯
Five lifestyle habits which make you more vulnerable to diabetes

৫ অভ্যাসে বদল না আনলেই ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়বে। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকের ধারণা, মিষ্টির প্রতি অগাধ ভালবাসাই বুঝি ডায়াবিটিসের একমাত্র কারণ। তবে এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। মিষ্টি খেলেই যে ডায়াবিটিস হবে, এ কথার কোনও ভিত্তি নেই। তবে, ডায়াবিটিস ধরা পড়লে মিষ্টি খাওয়ার উপর বিধিনিষেধ চলে আসে। কারণ, অত্যধিক মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তবে রোজকার কিছু অভ্যাসেও ডায়াবিটিস বাসা বাঁধে শরীরে। বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস থাকলে রোগের ঝুঁকি এড়াতে কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানবেন, রইল হদিস।

Advertisement

১) রোজ সকালে অফিস যাওয়ার তাড়ায় অনেকেই প্রাতরাশ না করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকার পর, দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাসের কারণে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রাতরাশ করতে হবে পেট ভরে।

২) ব্যস্ত জীবনে ঘুমের সঙ্গে আপস করেন কেউ কেউ। অপর্যাপ্ত ঘুম নানা রোগবালাই ডেকে আনে। শরীর সুস্থ রাখতে যে পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন, তার চেয়ে কম হলে ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম কিন্তু ভীষণ জরুরি।

৩) দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করলেও ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবিটিসের। শরীর যত সচল রাখবেন, ততই ডায়াবিটিস দূরে থাকবে। এক জায়গায় বসে কাজ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যত পারবেন শরীর সচল রাখার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চার অভ্যাস করুন।

Five lifestyle habits which make you more vulnerable to diabetes

ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে ধূমপানে রাশ টানুন। ছবি: সংগৃহীত।

৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধূমপানের সঙ্গেও ডায়াবিটিসের যোগ রয়েছেন। তাই ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে ধূমপানে রাশ টানুন।

৫) মানসিক চাপের কারণেও ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন কেউ কেউ। কর্মক্ষেত্রে চাপ, বাড়িতে সমস্যা— চিন্তার জেরে বেড়ে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত যোগাসন করুন। মাঝেমধ্যে সময় বার করে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিন। মন ভাল রাখার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন
Advertisement