বন্ধ নাক খুলতে ঘরোয়া দাওয়াই কী হতে পারে? ছবি: শাটারস্টক।
আবহাওয়া বদলের সময় যেমন সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে, তেমনই সারা বছরই এসি-তে অফিসকাছারির কাজ সারার কারণেও ঠান্ডা লাগার প্রবণতা থেকে যায় অনেকেরই। ইতিমধ্যেই শহরে শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। সকালে গরম, রাতের দিতে হালকা শীতশীত ভাবের প্রভাবে শুকনো কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া বা ঘুমোনোর সময় নাক বন্ধ হয়ে গিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা— অনেকের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
শরীরে যখন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মিউকাস তৈরি হয়, তখনই বাড়তি মিউকাস নাক জলের আকারে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া যাঁরা সাইনাস ও মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদেরও ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যায়। শীতের শুরুতে আপনারও কি ঘন ঘন নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? চিকিৎসকদের মতে, রোজ রোজ নাকের ড্রপ ব্যবহার করলে এক সময় তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন আর নাকের ড্রপ না নিলে ঘুম আসতে চায় না।
১) গরম জলে ভাপ নিতে পারেন। গরম জলে নুন মিশিয়ে মিনিট দশেক ভাপ নিন। দিনে তিন থেকে চার বার করতে পারলে উপকার পাবেন। গরম জলে স্নান করলেও বন্ধ নাক খুলে যায়।
২) বন্ধ নাক খুলতে কাজে লাগাতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। একটা পরিষ্কার রুমালে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল নিন। রুমাল নাকের কাছে ধরে শ্বাস নিন। নাক খুলে যাবে।
৩) বন্ধ নাক খুলতে অব্যর্থ দাওয়াই হতে পারে গোলমরিচ কিংবা কালোজিরে। হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচ গুঁড়ো বা কালোজিরে নিয়ে সামান্য সর্ষের তেল দিন। আঙুলে লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে। সেই সঙ্গেই নাক, মাথা পরিষ্কার হয়ে ঝরঝরে লাগবে।
৪) হাতের তালুতে সর্ষের তেল ভাল করে ঘষে নিয়ে কিংবা অল্প গরম করে নাক দিয়ে ভিতরে টেনে নিন। বুকেও সর্ষের তেলের মালিশ করতে পারেন। বন্ধ নাকের সমস্যা দূর হবে।
৫) সর্দি হলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। তবে সাধারণ জল না খেয়ে ঈষদুষ্ণ গরম জল পান করুন। এ ছাড়া, ঘন ঘন গরম চা, স্যুপ খেতে পারেন।