মিষ্টি খাবার কিন্তু ততটা মিষ্টি নয়। ছবি: সংগৃহীত।
শেষপাতে মিষ্টিমুখ করার রেওয়াজ বহু পুরনো। তবে ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় একটু ভয়ও কাজ করে। ডায়াবিটিস, ওজন বেড়ে যাওয়ার চিন্তা মাথায় ঘোরে। তা সত্ত্বেও মধ্যরাতে হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে করতেই পারে। কাজ থেকে ফেরার সময়ে পাড়ার মিষ্টির দোকানের পাকঘরে গরম রসগোল্লা তৈরির গন্ধ নাকে গেলেও মন উচাটন হয়ে ওঠে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন কিছু মিষ্টির পদ রয়েছে, যেগুলি খেলে ওজন কিংবা রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। তেমন কিছু পদের সন্ধান রইল এখানে।
১) ফ্রুট চাট
আম, লিচু, কলা, আপেল, স্ট্রবেরির মতো ফল ছোট ছোট করে কেটে উপর থেকে টক দই, চাট মশলা এবং লেবুর রস ছড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই ডায়াবেটিকদের জন্যেও এই খাবার নিরাপদ। এই ধরনের মিষ্টি খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও নেই।
২) চিয়া পুডিং
চিয়া বীজ, কাঠবাদাম বা নারকেলের দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স এবং সামান্য একটু মধু— এই কয়েকটি জিনিস একসঙ্গে মিশিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরের দিন সকালে পুডিং তৈরি হয়ে যাবে। মধ্যাহ্নভোজের পর কিংবা রাতে এই পুডিং দিয়ে মিষ্টিমুখ করা যেতেই পারে।
৩) ম্যাঙ্গো কুলফি
পাকা আমের ক্বাথের সঙ্গে ঘন দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন। আলাদা করে চিনি বা মধু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কুলফির ছাঁচে ভরে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিলেই কাজ শেষ।
৪) বেক্ড অ্যাপল
আপেলের মাথার দিকটা কেটে ভিতর থেকে খানিকটা কুরে নিন। কুরিয়ে নেওয়া আপেলের সঙ্গে সামান্য দারচিনি, খানিকটা কিশমিশ, কাঠবাদাম কুচি এবং সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। এ বার ওই কুরিয়ে নেওয়া অংশটি আবার আপেলের মধ্যে ভরে দিন। ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আপেলটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট বেক করে নিলেই বেক্ড অ্যাপল তৈরি।
৫) মিলেটের পায়েস
যেমন ভাবে চালের পায়েস তৈরি করেন, একই ভাবে মিলেটের পায়েস তৈরি করতে পারেন। প্রথমে সামান্য ঘিয়ের মধ্যে ছোট এলাচ দিয়ে মিলেট ভেজে নিন। এ বার নারকেলের দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। মিলেট সেদ্ধ হয়ে এলে গুড় দিয়ে খানিক ক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিন। হয়ে গেলে উপর থেকে কাঠবাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।