বিছুটি পাতার চায়ের কিন্তু গুণ অনেক। ছবি: সংগৃহীত।
বিছুটি পাতা। এই পাতার নাম শুনলেই যেন সারা গায়ে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। ছেলেবেলায় কাউকে জব্দ করতে হলে অনেকেই এই পাতার ব্যবহার করেছেন রসিকতার ছলে। তবে এই পাতাটি স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী, সেই খবর রাখেন কি? বিছুটি পাতা শুকনো করে ব্যবহার করলে তা সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই হতেই পারে। বিছুটি পাতায় রয়েছে ফ্যাট, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন-সহ একাধিক খনিজ উপাদান। বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসাবে এই পাতা দারুণ কাজে আসে।
কোন কোন রোগ ঠেকাতে পারে এই পাতা?
১) বিছুটি পাতার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ শরীরে যে কোনও রকম সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে দারুণ উপকারী। অনেক মহিলাই মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই)-এর সমস্যায় ভোগেন। এই পাতা শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে বার করে দিতে সাহায্য করে।
২) বিছুটি পাতার নির্যাস দিয়ে অনেক রকম বেদনানাশক ওষুধ তৈরি হয়। বাতের ব্যথা উপশমে এই পাতা বেশ উপকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই পাতার চা নিয়মিত খেলে বাতের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
৩) ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। এই পাতার রস খেলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) কিডনিতে পাথর জমলেও এই পাতার চা খেলে উপকার পেতে পারেন। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই পাতার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
৫) গরমে অনেকের ত্বকেই ঘামাচির সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রেও বিছুটি পাতার চা খেলে উপকার পেতে পারেন। র্যাশ ও অ্যালার্জির সমস্যাতেও এই পাতা দারুণ কাজ দেয়।
কী ভাবে বানাবেন বিছুটি চা?
বিভিন্ন অনলাইন সাইটে ‘নিটিল লিভস টি’ বলে বিছুটি পাতার চা বিক্রি হয়। একটি পাত্রে গরম জলে এক চামচ এই পাতা মিশিয়ে খানিক ক্ষণ ঢেকে রাখুন। তার পর ছেঁকে নিয়েই পান করুন এই ওষুধ।