দেহঘড়ির সময় বুঝে যদি খাওয়ার তালিকা প্রস্তুত করতে পারা যায়, সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাই হওয়ার কথা নয়। ছবি- সংগৃহীত
২৪ ঘণ্টায় এক দিন। সেই নিয়ম মেনেই প্রতি দিন সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়। দেহের ঘড়িও কিন্তু এই সময় মেনেই চলে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে, তার উপর নির্ভর করেই সাজাতে হয় খাওয়ার তালিকা। বিপাকহার, শক্তি, ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তা নির্ভর করে এই ঘড়ির উপর। অনেকেই ওজন ঝরানোর তাগিদে ডায়েট করেন। এই নিয়মের শুরুতে অনেকেরই যথেষ্ট দুর্বল লাগে। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, দেহঘড়ির সময় বুঝে যদি খাওয়ার তালিকা প্রস্তুত করতে পারা যায়, সে ক্ষেত্রে এমন কোনও সমস্যাই হওয়ার কথা নয়। শুধু জানতে হবে, কোন সময়ে খাবেন এবং কী কী খাবেন।
কী কী খেতে হবে?
১) সবুজ শাক-সব্জি
যত রকমের সবুজ শাক-সব্জি রয়েছে, সব কিছুই এই তালিকায় রাখা যেতে পারে। ভিটামিন, খনিজের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর শাক-সব্জি শরীরে বিভিন্ন যৌগের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। ঘুমের চক্র স্বাভাবিক করতেও সাহায্য করে এই শাক-সব্জি।
২) দানাশস্য
ফাইবারে ভরপুর কিনুয়া, ওটমিল, ভুট্টাজাতীয় দানাশস্য রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে। এই সব খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। তাই বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে।
৩) প্রোটিন
খাবার তালিকায় রাখতে হবে মুরগির মাংস, মাছ, টোফুর মতো অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর এই খাবারগুলি। পেশি গঠনে এবং তা মজবুত রাখতে সাহায্য করে এগুলি।
৪) বাদাম এবং বীজ
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়া জরুরি। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
৫) প্রোবায়োটিক
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে প্রোবায়োটিক-জাতীয় খাবার। হজমে সহায়ক এই খাবারগুলি অনিদ্রাজনিত সমস্যাও দূর করে।