ওজন কমাতে হলে নজর দিতে হবে বিপাকহার বৃদ্ধির উপর। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল কী ভাবে শুরু করছেন, তার উপর নির্ভর করছে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। ঘুম থেকে উঠেই অফিস বেরোনোর তাড়া, তার পর কাজকর্মের বিপুল চাপ, তা থেকে উদ্বেগ— সব মিলিয়ে দিনের শেষে ক্লান্তি ঘিরে ধরা স্বাভাবিক। বাড়ি ফিরতেই জমিয়ে সিনেমা দেখতে বসার বদলে ঘুমে চোখ ঢুলে আসে। এমন ভাবেই কেটে যায় অনেকগুলি দিন। জীবন যাপনে রোজকার নানা অনিয়মের কারণে ওজনও বশে থাকছে না কিছুতেই। তাই সকাল শুরু করতে হবে একটু অন্য ভাবে। সকালের রুটিনের উপর নির্ভর করে, ওজন আদৌ বশে থাকবে কি না। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলাও ওজন কমানোর একটি উপায়। তাই শুধু জল না খেয়ে সকালের প্রথম ডায়েটে থাকুক কয়েকটি পানীয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
গ্রিন টি: এই চায়ে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ক্যাটেচিন, ইপিগ্যালোক্যাটেচিন-এর মতো উপাদান। ওজন নিয়ন্ত্রণে গ্রিন টি-র ভূমিকা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা জানাচ্ছে, গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিন বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে পেটে জমে থাকা মেদ ঝরে দ্রুত। হজমের গোলমাল নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওজন কমানোও সহজ হয়ে যায়।
জিরের জল: এক গ্লাস জলে এক চা চামচ সাদা জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে সেই জলটা ছেঁকে ফুটিয়ে নিন। এ বার তাতে সামান্য লেবু মিশিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় খেয়ে নিন । জিরের মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় তা হজমে সাহায্য করে। শরীর থেকে বাড়তি টক্সিন বার করে বিপাক ক্রিয়ার হারও বৃদ্ধি করে জিরে।
আদা-হলুদ চা: একটি পাত্রে এক কাপ জল, আধ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো ও আদা কুচি দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এই 'চা' রোজকার ডায়েটে দু’বার রাখতেই পারেন। এই দুই উপাদানই বিপাকহার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পেটের চর্বি ঝরাতে এই পানীয় দারুণ উপকারী।
দারচিনি জল: তরকারি হোক, কেক হোক কিংবা স্মুদি— হাজার রকম পদে এই মশলার ব্যবহার। কিন্তু ওজন কমানোতেও যে দারচিনি সিদ্ধহস্ত, সেই খবর অনেকেরই অজানা। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টযুক্ত এই মশলা দিয়ে রোজ চা বানিয়ে খান। দারচিনি শরীরের বিপাক হার বাড়ায়। পাশাপাশি, ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
মেথি জল: ওজন ঝরানোর চেষ্টায় থাকলে এই জল কাজে লাগতে পারে। মেথিতে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার থাকে। সকালটা মেথি জল দিয়ে শুরু করলে অনেক ক্ষণ পেট ভরাট থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি ইচ্ছেও কমে যায়। ফলে সকালে উঠে এক কাপ মেথি জল খেলে অনেকটাই ওজন ঝরার সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার জন্য লেখা হয়েছে। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরমার্শ করুন।