উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে পারে শ্বাসের ব্যয়াম ছবি: সংগৃহীত
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেকেই নানা ওষুখ খান। সেই ওষুধ যে একবার খেয়ে মুক্তি পাওয়া যায়, তাও নয়। বছরের পর বছর খেয়েই যেতে হয় সেই ওষুধ। কিন্তু ওষুধ ছা়ড়াও এ থেকে মুক্তি সম্ভব। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা উচ্চ রক্তচাপের উপর শ্বাসের ব্যায়াম বা ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ’-এর প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁরা দেখেন, প্রতিদিন ৫ মিনিট করে এই ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপ ক্রমশ কমতে থাকে। টানা ৬ সপ্তাহ এই ভাবে শ্বাসের ব্যায়াম করে গেলে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা ৯ পয়েন্ট পর্যন্ত কমেছে— এমনই দেখা গিয়েছে।
কী ভাবে করবেন এই ব্যায়াম?
• সোজা হয়ে বসে চোখ বন্ধ করতে হবে।
• স্বাভাবিক শ্বাস নিতে হবে।
• তালুর চাপে ডানদিকের নাসারন্ধ্র বন্ধ করতে হবে।
• বাঁদিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিতে হবে।
• এর পরে বাঁদিকের নাসারন্ধ্র অনামিকার চাপে বন্ধ করতে হবে।
• ডানদিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে।
• এ বার ডানদিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিতে হবে।
• একই ভাবে আগের মতো তালু দিয়ে ডান দিকের নাসারন্ধ্র বন্ধ করতে হবে।
• এ বার শ্বাস বাঁদিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে ছাড়তে হবে।
• গোটা প্রক্রিয়াটির সময়ে তর্জনি এবং মধ্যমা কপাল ছুঁয়ে থাকবে।
• এ ভাবে চালাতে হবে ৫ মিনিট।
গবেষকদলের প্রধান ড্যানিয়েল ক্রেগহেড সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাননি। কিন্তু তার পরেও প্রতিদিন ৫ মিনিট করে শ্বাসের ব্যায়াম ধীরে ধীরে তাঁদের রক্তচাপ কমিয়ে দিয়েছে।’’
একবার তো না হয় কমে গেল, কিন্তু শ্বাসের ব্যায়াম বন্ধ করে দেওয়ার পরেও কি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে? ড্যানিয়েল ক্রেগহেড ও তাঁর দলের এই গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এ। সেখানে বলা হয়েছে, টানা ৬ সপ্তাহ এ ভাবে শ্বাসের ব্যায়াম চালানোর পর রক্তচাপের মাত্রা কমে যায়। তার পরে কেউ যদি ব্যায়াম বন্ধ করে দেন, তা হলে আগামী ৬ সপ্তাহ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকে। তার পরে আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
ভবিষ্যতে এই ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নেবে বলে আশা গবেষকদের।