এমসের প্রাক্তন প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া ছবি: সংগৃহীত।
এইচ৩এন২ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতিতে, বয়স্করা যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের বিশেষ করে সতর্ক থাকার জন্য ও জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকার সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমসের প্রাক্তন প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া সম্প্রতি এর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ এই ভাইরাসটি প্রতি বছর রূপ পরিবর্তন করে ফিরে আসে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে সহজেই অন্য লোকের শরীরে বাসা বাঁধতে ওস্তাদ এই ভাইরাস।’’
এই ভাইরাসের প্রভাবে যে ফ্লু হয়, তাকে বলা হয় ‘হংকং ফ্লু’। জ্বরের পাশাপাশি, এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণা। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লেগে যাচ্ছে। রণদীপ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি বয়স্কদের সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, হার্টের সমস্যা আছে কিংবা কিডনির রোগ রয়েছে তাঁদের বাইরে বেরোনোর বিষয় বেশ সতর্ক থাকতে হবে, ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। আমাদের দেশে অনেক বছর আগে এইচ১এন১ ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছিল। এখন সেই ভাইরাস রূপ পরিবর্তন করে এইচ৩এন২ উপরূপ নিয়েছে। এই ভাইরাসটি যত রূপ পরিবর্তন করছে ততই আমাদের শরীরে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। তাই সংক্রমণের প্রবণতাও বেড়ে যাচ্ছে। এখন সচেতন না হলে আরও ছড়াবে এই রোগ।’’
কোন কোন ফ্যাক্টর এই ভাইরাস থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? এই প্রশ্নে উত্তরে রণদীপ বলেন, ‘‘মরসুম বদলের সময় এই ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। কোভিডের প্রকোপ কমায় আমরা মাস্ক পরা ভুলতে বসেছি, এর ফলে সহজেই শরীরে বাসা বাঁধছে এইচ৩এন২ ভাইরাস। হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে জল বা সাবানের কোনও বিকল্প নেই। তবু যদি সব জায়গায় জল, সাবানের ব্যবস্থা না থাকে, তখন স্যানিটাইজ়ারের উপর ভরসা করতে হবে। সংক্রমণ ঠেকাতে চাইলে হাত না ধুয়ে শুধু খাবার খাওয়া নয়, চোখ-মুখ বা নাকও স্পর্শ করা যাবে না।’’