Benefits of Physical Excercise

মগজাস্ত্রের কাজেও জরুরি শরীরচর্চা! চাপ কমিয়ে মনমেজাজ ভাল রাখার দাওয়াই ঠিক কী?

বঙ্গসাহিত্যের অন্যতম প্রিয় চরিত্র ফেলুদাকে শীর্ষাসন করতে দেখা গিয়েছিল ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে। ভারতীয় দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দের শরীরচর্চার গল্প অবশ্য বলেছেন তাঁর স্ত্রী অরুণা আনন্দ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৩
গোয়েন্দা হোন বা দাবাড়ু, ফেলুদার মতো বিশ্বনাথন আনন্দেরও শরীরচর্চার প্রয়োজন পড়ে।

গোয়েন্দা হোন বা দাবাড়ু, ফেলুদার মতো বিশ্বনাথন আনন্দেরও শরীরচর্চার প্রয়োজন পড়ে। ছবি : সংগৃহীত।

কাজের নানা রকমফের হয়। মগজের কাজ নাকি গতরের কাজ, তার উপর নির্ভর করে বিচার। যাঁদের মগজের কাজ বেশি, অনেকেই মনে করেন, তাঁদের বুদ্ধিতে ধার দেওয়াটাই জরুরি। মাথা খাটানো যায়, এমন পড়াশোনা, আলোচনাই কাজে লাগবে তাঁদের। শরীরচর্চা না করলেও চলবে। কিন্তু বাঙালির অন্যতম প্রিয় ‘নায়ক’ ফেলুদা তা মনে করেননি। মগজাস্ত্রে শান দেওয়ার পাশাপাশি রোজ সকালে শীর্ষাসন করতেন প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ভারতীয় দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দকেও সক্রিয় থাকার জন্য ডনবৈঠক করতে হয়!

Advertisement

ফেলুদাকে শীর্ষাসন করতে দেখা গিয়েছিল ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে। পরে সত্যজিৎ রায়ের কলমে তোপসের বয়ানেও এই গোয়েন্দার শরীরচর্চার কথা জানা গিয়েছে। তবে তিনি তো কল্পলোকের চরিত্র। বাস্তবের মগজাস্ত্র নিয়ে যাঁর কারবার, সেই বিশ্বনাথনও শরীরচর্চা করেন। সেই গল্প শুনিয়েছেন তাঁর স্ত্রী অরুণা আনন্দ। একটি অনুষ্ঠানে অরুণা বলেছেন, ‘‘এক বার দুটো বাজে ভুলের জন্য জেতা ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ও (বিশ্বনাথন)। আমার এত বিরক্ত লেগেছিল যে আমি ওকে বলেছিলাম, আজ ৫০টা ডনবৈঠক দিলে তবেই রাতের খাবার পাবে। আর আমার কথা শুনে মানুষটা টানা ৫০টা ডনবৈঠক দিয়েওছিল।’’

অভ্যাস না থাকলে টানা ৫০টি ডনবৈঠক দেওয়া সহজ নয়। বিশ্বনাথনের যে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে, তা অরুণার কথাতেও স্পষ্ট। কারণ ওই অনুষ্ঠানেই মানসিক স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে অরুণা বলেছেন, ‘‘সবাই ভাবেন, দাবা মস্তিষ্কের খেলা। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা তা নয়। দাবা খেলতে হলেও শরীরচর্চা জরুরি। শরীরচর্চা তোমার খেলার ধরনটাই বদলে দেবে।’’

মগজে শান দেওয়ার জন্য শরীরচর্চার উপকারিতার কথা মানছেন চিকিৎসকেরাও। অস্থির চিকিৎসক রবিকুমার মুকার্তিহাল বলছেন, ‘‘মানসিক দৃঢ়তা এবং শারীরিক প্রশিক্ষণ— দু’টি একসঙ্গে মিশলে তা যে কোনও ক্লান্তিবোধকে দূর করতে পারে।’’ মনোরোগ চিকিৎসক প্রশান্ত গয়ালও একই কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মনের দিক থেকে আমরা ভাল থাকছি কি না তার অনেকটাই নির্ভর করবে, আমরা শারীরিক ভাবে ভাল আছি কি না, তার উপরে। আবার শরীরচর্চার সময় কোনও পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যপূরণ করলে এনডরফিনের মতো হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা আমাদের মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দূরেও রাখতে পারে এনডরফিন। যাঁরা মগজের কাজ করেন, তাঁদের জন্য তা অবশ্যই ভাল। কারণ, মন ভাল থাকলে তার অনুকূল প্রভাব পড়বে কাজের ক্ষেত্রেও।’’

Advertisement
আরও পড়ুন