কোন ডায়েটের মন্ত্রে ১০ কেজি ওজন কমল ইলন মাস্কের? ছবি: সংগৃহীত
টেলসা-কর্তা ইলন মাস্ক বরাবরই খাদ্যরসিক। আর শরীরচর্চাতেও তাঁর মোটেই আগ্রহ নেই। এ কথা নিজেই বার বার জানিয়েছেন নানা সাক্ষাৎকারে। কিন্তু হালে বেশ খানিকটা ওজন ঝরিয়ে ফেলেছেন মাস্ক! তবে কি শেষে শরীরচর্চায় কমল মাস্কের ওজন?
এক সাক্ষাৎকারে ইলন বলেছিলেন, ‘‘আমায় শরীরচর্চা করতে হবে এবং ফিট থাকতে হবে।’’ সেখানে তিনি এ-ও বলেছিলেন, ব্যায়াম করতে তাঁর একেবারেই ভাল লাগে না।
তাঁর জীবনের নানা ছোট-বড় খবর মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। টুইটারে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ১০ কোটি।
সম্প্রতি ইলন মাস্ক তাঁর ওজন কমানোর কৌশল তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। শেয়ার করেছেন ডায়েট প্ল্যানও। না কোনও রকম ওষুধ বা ক্যাপসুল খেয়ে নয়, ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েটের উপর নির্ভর করেই ওজন ঝরিয়েছেন মাস্ক।
টুইটারে ইলন লেখেন, ‘এক জন ভাল বন্ধুর পরামর্শে, আমি দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় খালি পেটে থাকছি এবং সুস্থ বোধ করছি’।
এক জন অনুগামী প্রশ্ন করেন, এই ডায়েট করে তিনি কত কেজি ওজন কমালেন? উত্তরে মাস্ক লেখেন, ‘এই ডায়েট শুরুর আগে আমার যা ওজন ছিল তার চেয়ে ১০ কেজি মতো ঝরিয়ে ফেলেছি’।
সম্প্রতি, তাঁর বাবা ইরোল মাস্কও ছেলের খাদ্যাভ্যাসের সমালোচনা করেছিলেন। ইরোল মাস্ক তাঁর ছেলেকে গার্সিনিয়া ক্যাম্বোগিয়া নামে একটি ওষুধও খেতে বলেন। ইরোল বলেছিলেন, ওজন কমানোর ওষুধটি খেয়ে তাঁর কয়েক পাউন্ড ওজন কমেছে। ইলনকেও এই ওষুধটি খাওয়ার পরামর্শ দেবেন তিনি ।
তবে ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর পথই বেছে নিয়েছেন ইলন।
‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ কী?
চটজলদি ওজন ঝরাতে ইদানীং অনেকেই ভরসা রাখছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েটের উপর। এই ডায়েটে কী খেতে হবে, কী খেতে হবে না, সেই বিষয়ে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করেই কাটাতে হয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সঠিক কায়দা মেনে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও চাঙ্গা থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাক হার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত।