সুগন্ধের গুণে গায়েব হবে মাথাব্যথা। ছবি: সংগৃহীত।
দু’দিন আগে মনে হয়েছিল এ বারের মতো শীত বিদায় নিল। কিন্তু তা তো নয়! মধ্যরাত, ভোরের আবার দিকে কাঁথা-কম্বলের খোঁজ পড়ছে। সকালের দিকে আবার রোদ দেখলে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। আবহাওয়ার হঠাৎ এই পরিবর্তনে যথারীতি মাথা যন্ত্রণা, মাথাধরার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও একই রকম কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যথা কমানোর ওষুধই ভরসা। তবে এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া ভাল নয়। তার চেয়ে বরং অ্যারোমাথেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
অ্যারোমাথেরাপি কী?
মূলত সুগন্ধির ঘ্রাণ গ্রহণ ও ত্বকের শোষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগানো হয় এই চিকিৎসাপদ্ধতিতে। মাখা সম্ভব না হলে সুগন্ধি ছড়ানোর যন্ত্র বা ইনহেলারের মাধ্যমে নাকে সেই গন্ধ পৌঁছে দেওয়া হয়। কখনও স্নান করার জলে বিশেষ ধরনের সুগন্ধিযুক্ত লবণও দেওয়া হয়।
মাথা যন্ত্রণা নিরাময়ে কী ভাবে কাজ করে অ্যারোমাথেরাপি?
শুধু মাইগ্রেন বা মাথাধরা নয়, ঋতুকালীন অবসাদ থেকেও অনেক সময়ে মাথাভার হয়ে থাকে। ‘কোরিয়ান জার্নাল অফ ফ্যামিলি মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করতে সাহায্য করে এসেনশিয়াল অয়েল। পেপারমিন্ট অয়েলে রয়েছে ‘মেন্থল’ নামক একটি উপাদান, যেটি শরীরে শীতল পরশ এনে দিতে পারে। পাশাপাশি, এটি ‘অ্যানালজেসিক’ হিসাবেও কাজ করে। আবার, ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঠান্ডা লেগে বা সর্দি বসে মাথাব্যথা হলে কাজে আসবে ইউক্যালিপটাস অয়েল। ‘সায়েন্স ডিরেক্ট’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সর্দিতে বন্ধ নাক খুলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ইউক্যালিপটাস অয়েল।
কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে?
১) মাথার বালিশে, রুমালে কয়েক ফোঁটা অয়েল দিয়ে তার ঘ্রাণ নেওয়া যেতে পারে।
২) নারকেল তেল, অলিভ অয়েলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে কপালে মাসাজ করা যেতে পারে।
৩) ঈষদুষ্ণ স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। শুধু মাথা নয়, সারা দেহের ব্যথা নিরাময় হবে।