চুল পড়ার সঙ্গে খাবারের যোগ কোথায়? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকালে বেশি চুল পড়ে। এ কথা কে না জানেন? কিন্তু কেন পড়ে, তা জানেন কি? বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে। ভিজে জিনিস সহজে শুকোতে চায় না। মাথায় ঘাম বসে ত্বকে ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। এ সবই চুল পড়ার কারণ হতে দাঁড়ায়। নিয়মিত শ্যাম্পু করলেও এই সময়ে চুল এবং মাথার ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে বলেন ত্বকের চিকিৎসকেরা। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন অন্য কথা। চুল পড়া রোধ করতে গেলে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলে হবে না। রোজের খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে।
সুষম খাবার খেলে চুলের ফলিকলগুলি পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। ফলে পুষ্টির অভাবে চুল পড়ার সমস্যা কিছুটা হলেও রুখে দেওয়া যায়। কিন্তু কী ধরনের খাবার খেলে চুল পড়ার পরিমাণ কমবে? বাড়ির সাধারণ খাবার খেলে কি সেই সব উপাদানের ঘাটতি পূরণ হবে?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিষ্প্রাণ চুলের হাল ফিরিয়ে দিতে পারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এমনকি, মাথার ত্বকের দেখাশোনা করতেও এই উপাদানের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। চিয়া, তিসি, আখরোট এবং সামুদ্রিক মাছ হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রাকৃতিক উৎস। রোজের ডায়েটে যে কোনও একটি খাবার যোগ করতেই পারেন।
মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন এ। স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা, পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। গাজর, মিষ্টি আলু, শাকসব্জিতে ভিটামিন এ রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। চুলের জন্য রোজের খাবারে এই ধরনের সব্জি রাখা যেতে পারে।
দেহের নিজস্ব প্রোটিন হল কোলাজেন এবং কেরাটিন। নতুন চুল গজাতে এবং চুল পড়া রুখতে এই প্রোটিনগুলির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব হলে এই প্রোটিন উৎপাদনের হার কমে যেতে পারে। কমলালেবু, পাতিলেবু, আঙুর কিংবা বেরিজাতীয় ফলে ভিটামিন সি রয়েছে। চুলের গোড়া মজবুত করতে হলে সাধারণ খাবারের পাশাপাশি এই ফলগুলিকেও যোগ করতে হবে।
এ ছাড়া খেয়াল রাখতে হবে, রক্তে ভিটামিন বি, আয়রন, প্রোটিন এবং জ়িঙ্কের পরিমাণে যেন ঘাটতি না হয়। এই সব উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুল এবং মাথার ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই সব উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলেও কিন্তু চুল পড়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই কোমরছোঁয়া একঢাল চুলের স্বপ্ন দেখে থাকলে এই সব দিকে নজর দেওয়া জরুরি।