পুজোয় হাতের কাছে রাখবেন কোন কোন ওষুধ প্রতীকী ছবি
রাত পোহালেই পুজো। আর পুজো মানেই দেদার খাওয়াদাওয়া। তবে খাওয়া বেসামাল হয়ে গেলে গ্যাস-অম্বল হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। শুধু কি পেটখারাপ? শরতের হিম মাথায় নিয়ে ঠাকুর দেখতে গেলে হতে পারে সর্দিকাশির সমস্যাও। এমনিতেই পুজো মানেই বেশ খানিকটা অনিয়ম। তার উপর অনেক সময়ই পুজোর দিনে বাড়ির কাছের ওষুধের দোকানও বন্ধ থাকে। আচমকা শরীর খারাপ করলে যাতে বিপত্তি না বাধে তাই হাতের কাছে রাখতেই হবে জরুরি কিছু ওষুধ।
জ্বরের ওষুধ
ভ্যাপসা গরমে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গলদঘর্ম দশা হওয়া অসম্ভব নয়। আর ঘাম গায়ে বসে গেলে আসতে পারে অল্প জ্বরও। গা হালকা ম্যাজম্যাজও করে অনেক সময়। তা ছাড়া এ বার ডেঙ্গির প্রকোপও অনেকটাই বেশি। তাই বাড়িতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ রাখতেই হবে।
কাশির ওষুধ
জ্বরের মতোই একই ভাবে দেখা দিতে পারে কাশির সমস্যাও। বিশেষ করে শিশুদের এই সময় কাশির দমকে বেশ কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে রাতে ঘুম ভেঙে যায়। হালকা ঠান্ডাতে যাতে কেশে কেশে পুজোর দিন মাটি হয়ে না যায়, তার জন্য বাড়িতে মজুত রাখুন ‘কাফ সিরাপ’।
গ্যাস-অম্বলের ওষুধ
পুজোয় খাওয়াদাওয়ার একটু অনিয়ম হবেই। রাস্তার পাশের দোকান থেকে রোল খাওয়া কিংবা রাত জেগে পার্টি, অনিয়মে পেটখারাপ হতেই পারে। তাই হাতের নাগালে রাখুন অম্বল ও বমির ওষুধ। ভুল খাবারে অনেক সময় পেট ছেড়ে দেয়। পুজোর দিনে এমন হলে কি ভাল লাগে! তাই ডায়েরিয়ার ওষুধও কিনে রাখতে পারেন আগেভাগে। পেটখারাপের সমস্যা হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ও খনিজ লবণ বেরিয়ে যায়। তাই কিনে রাখুন ওআরএস।
মাথাব্যথার ওষুধ
রাত জেগে আড্ডা মেরে পরের দিন মাথা ধরেছে? ব্যস সারাটা দিন শুয়েই কাটাতে হল। যে চারটি দিনের জন্য এত আয়োজন তার একটা যদি মাথায় হাত দিয়েই কেটে যায় তবে মনখারাপ হতে বাধ্য। পুজোর গোটা দিনটা যাতে মাটি না হয়, তার জন্য অবশ্যই দরকার মাথাব্যথার ওষুধ। মাথাব্যথা হলে ওষুধ তো খাবেনই। তবে আরাম পেতে বাড়িতে মজুত রাখুন বামও।
আনুষঙ্গিক ওষুধ
টুকটাক হাত-পা কেটে গেলে বা নতুন জুতো থেকে ফোস্কা পড়লে যাতে অসুবিধে না হয়, তাই হাতের কাছে রাখুন ব্যান্ডেড।
তবে মনে রাখবেন ওষুধ কিনে রাখা মানেই কিন্তু ইচ্ছে মতো ওষুধ খাওয়া নয়। কোনও সমস্যা দেখা দিলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তার পরে ওষুধ খেতে হবে। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে।