৫০ পেরিয়েও ছিপছিপে থাকা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে শরীরের অন্দরের কলকব্জাগুলি নড়বড়ে হয়ে যায়। তবে বার্ধক্য অনিবার্য এবং স্বাভাবিক। তাই বয়সকালে চাঙ্গা থাকতে আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। বয়সের চাকা যত সামনের দিকে এগোতে থাকে কর্মক্ষমতা কমে যায়। প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। চিকিৎসকেরা বয়স বাড়লে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে বলেন। তা হলেই বার্ধক্যকালীন রোগবালাই থেকে দূরে থাকা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে তো হবেই, সেই সঙ্গে কয়েকটি পানীয় নিয়ম করে পান করতে পারলে ভাল। উপকার মিলবে।
গাজরের রস
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গাজরে রয়েছে উপকারী উপাদান লুটেইন। যা চোখের যত্ন নেয়। বয়স বাড়লে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, ছানি পড়া, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। গাজর চোখ এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণা জানাচ্ছে, গাজরের বিটা ক্যারোটিন উপাদান ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
বিটের রস
বিটের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন অনেকেই। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তো প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলা দরকার। সে কাজে পারদর্শী বিট। রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও বিট উপকারী।
বেদানার রস
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পলিফেনল সমৃদ্ধ বেদানা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও বয়স পঞ্চাশের কোঠা পার করার পর হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বেদানা বয়সজনিত হজমের সমস্যার দ্রুত সমাধান করে। পেটের গোলমাল কমায় বেদানার রস।