পরিমাণ মেপে যদি খাবার খাওয়া যায়, তা হলে কিন্তু ততটাও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির উৎসবের মরসুমের শেষ নেই। আর বাঙালির উদ্যাপন মানেই খাওয়াদাওয়া তো থাকবেই। বাঙালি এমনিতে খাদ্যরসিক। উৎসব থাক কিংবা না থাক, সারা বছরই পাতে মুখরোচক লোভনীয় খাবার থাকলেই মন ভাল থাকে। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভুলে গেলেও চলবে না। তেল-মশলা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু খাবার মনের যত্ন নিলেও, রোজ খেলে শরীরের উপর এর প্রভাব প়ড়ে স্বাভাবিক ভাবেই। অম্বল, বদহজম ছাড়াও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে শরীর খারাপের ভয়ে পছন্দের খাবার থেকে তো দূরে থাকা যায় না। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে কিন্তু বাইরের খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা যায়।
১) বিরিয়ানি, এগরোল, চাউমিন, মোগলাই খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। শরীর সুস্থ রাখতে কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কতটা খাচ্ছেন। পরিমাণ মেপে যদি খাবার খাওয়া যায়, তা হলে কিন্তু ততটাও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
২) রেস্তরাঁয় জমিয়ে নৈশভোজের পরিকল্পনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতা নেওয়া জরুরি। সকালেই এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে নিন। গরম জল শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালের আশঙ্কাও কমে।
৩) বাইরের মুখরোচক খাবার খেলে মূলত পেটের গোলমাল, হজমের সমস্যায় ভোগেন বেশির ভাগ। এই ঝুঁকি এড়াতে খাবার খাওয়ার আগে খেতে পারেন আদা আর পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা। উপকার পাবেন।
৪) মিষ্টি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তেমন খান না। মিষ্টি খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে নয়, দুপুর অথবা সকালের দিকে খাওয়া শ্রেয়।
৫) দুপুরে বাড়িতে পছন্দের সব খাবার রান্না হয়েছে। জমিয়ে ভূরিভোজ হবে। তবে সুস্থ থাকতে নৈশভোজে একেবারে হালকা খাবার খান। এতে একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে।